কুটনৈতিকপাড়া গুলশান; যেখানে নিরাপত্তার চাদর বিছানো থাকে। এই প্রথম বাংলাদেশে এরকম অনাকাঙ্খিত জিম্মিদশার ঘটনা ঘটলো। যেখানে অস্ত্রধারীদের জিম্মি কাণ্ডে এ পর্যন্ত দুইজন পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। আর আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশত জন। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশী হত্যা, দেশের সংখ্যালঘুদের হত্যা সবকিছুই প্রায় একই সূত্রে গাঁথা।
আমি আমার সাধারণ জ্ঞানে মনে করি, এসব ঘটনার জন্য আমাদের কাঁদা ছোঁড়াছুড়ির রাজনীতিই একমাত্র দায়ী।
গুলশান হামলাঃ অভিজাত এলাকা গুলশানের যেখানে জিম্মির ঘটনা ঘটে; সেই রেস্টুরেন্টটি বিদেশি মালিকানাধীন এবং অভিজাত পরিবার ও বিদেশি লোকজনরা সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৭টার পর কয়েকজন যুবক রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়ে। এদের একজনের হাতে ছিল তলোয়ার আর বাকিদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। মুহূর্তেই তারা রেস্টুরেন্টে অবস্থানরত সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের উদ্ধারে তৎপরতা চালালে ঘটনাস্থলে একজন ওসি ও হাসপাতালে নেয়ার পর আর একজন এসি নিহত হন। আহত হন অনেকেই; যাদের বেশির ভাগই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাইভ সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে।
উপরের ঘটনা শুধুমাত্র রেস্টুরেন্টের বাহিরের। ভিতরে যে কে কি অবস্থায় আছে, তা একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানে। কারণ বাহিরে যেভাবে নিহত আর আহতর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে, তাছাড়া প্রায় আট ঘন্টা হতে চললো তবুও সমাধান বের হলো না ! তাতে ভিতরকার অবস্থা সহজেই অনুমেয়।
১৪ দল বলে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশকে অস্থিতিশীল করতে জঙ্গীদের দিয়ে দেশে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। আবার ২০ দল বলছে আমরা নয়; আওয়ামী লীগ জোট জঙ্গীদের লালন করছে।
আইএস বা জঙ্গীগোষ্ঠী এ দেশে আছে কি নেই ! বা দেশে এতো'শত হত্যা-হামলা কেন হচ্ছে, তার কোন সুষ্ঠু প্রতিকার না করে বরং আমরা একদল আর এক দলকে দোষারোপ করা নিয়ে মহাব্যস্ত।
জোট-মহাজোট যতই অন্যের ঘারে দোষ চাপাক না কেন; এসব সমস্যার জন্য তাদেরকেই দায় নিতে হবে।
আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেশাগত যোগ্যতাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ! যদিও তারা অনেক ক্ষেত্রেই সফলতার পরিচয় দিয়েছে। তবুও আজকের ব্যতিক্রমী ঘটনায় তাদের অদক্ষতা প্রকাশ পেল। কারণ ৮ঘন্টা হতে চললেও এখন পর্যন্ত রেস্টুরেন্টের ভিতরের জিম্মিকারী বা ঘটনার শিকার অসহায় জনগনকে উদ্ধারে সফল হতে পারে নি। তবে আস্থা রাখি যে, খুব বেশি দেরী হলেও এই অভিযানে সফল হবে তারা।
#savedhaka
#savebangladesh
No comments:
Post a Comment