জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’র মাধ্য‌মে পাওয়া যা‌বে

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ উদ্বোধন করেছেন। দেশজুড়ে মানুষকে জরুরি সেবা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।

একটি সহজ নম্বর, ৯৯৯। যেকোনো ফোন থেকে বিনা খরচে কল করা যাবে এই নম্বরে। অপরপ্রান্তে থাকা কর্তব্যরত পুলিশের সদস্যরা তাৎক্ষণিক সাড়া দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। পুলিশ এর নাম দিয়েছে, ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’। প্রয়োজনে যে কেউ ফোন করে পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিস সেবা পাবেন।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ ইতিমধ্যে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, বিডি পুলিশ হেল্প লাইন ফেসবুকসহ আরো  আরো অ্যাপ খোলা হয়েছে। উন্নত বিশ্বে জরুরি কল সেন্টার চালু আছে। সেগুলোতে ফোন করে নাগরিকরা দ্রুত সেবা নিয়ে থাকেন। উন্নত বিশ্বের আদলে বাংলাদেশের জনগণ যাতে দ্রুত সেবা পেতে পারে  এজন্য ‘ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস’-৯৯৯ কল খোলা হয়েছে। দিনে ১২০টি কল রিসিভ করতে পারবে পুলিশ। কলটি পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ফরোয়ার্ড করে দিবে সংশ্লিষ্ট থানায়। এরপর পুলিশ ভিকটিমের তথ্য অনুযায়ী জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবে।

সূত্র জানায়, গত ২০শে জুলাই পরীক্ষামূলক পুলিশ জরুরি জাতীয় সেবা, ৯৯৯ কার্যক্রম চালু করে। এরই মধ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে ৯৯৯ নম্বরের একটি হেল্পডেক্স খোলা হয়। এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রমে সেবা প্রত্যাশীরা ৬৪.৮০ ভাগ পুলিশি সেবা, ৩১.১০ ভাগ ফায়ার সার্ভিস ও ৪.১০ ভাগ অ্যাম্বুলেন্স সেবার জন্য কল করেছেন। এই তিনটি কল পর্যালোচনা করে পুলিশ ওই ৩ সেবা দেয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে।

গত ৮ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ৯৯৯ পূর্ণাঙ্গভাবে পরিচালিত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথা বাংলাদেশ পুলিশকে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। এর আলোকে বিটিআরসি বাংলাদেশ পুলিশকে তাদের ব্যবহৃত ১০০ শর্টকোড এর পরিবর্তে ৯৯৯ শর্টকোড বরাদ্দ দেন। ইতিমধ্যে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় ৯৯৯ এর ব্যবহার, প্রচার ও কমিউনিটি সেফ্‌টির বিষয়ে কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে।

পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নাগরিকের কল্যাণে কাজে আসবে বলে পুলিশ আশা করছে। নাগরিকরা যদি কোনো অপরাধ করতে দেখেন, কাউকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হলে, কেউ দুর্ঘটনায় পড়লে বা কোনস্থানে আগুনসহ যেকোনো দুর্যোগ দেখা দিলে। পুলিশের দক্ষ ও প্রশিক্ষিত সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা এই কলটি রিসিভ করবেন এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

জাতীয় সেবাটির মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক স্থানের মানুষ দিনের ২৪ ঘন্টাই পুলিশ, দমকল বাহিনী ও অ্যাম্বুলেন্সের জরুরি সেবা গ্রহণ করতে পারবে। মোবাইল ফোন ও টেলিফোন উভয় মাধ্যমে শুধুমাত্র ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে এই সেবা পাওয়া যাবে।

No comments:

Post a Comment