
শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে কর্মজীবন পর্যন্ত মানুষ একটি সফল ক্যারিয়ার খুঁজে পাওয়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সবার ভাগ্যে সাফল্যের দেখা মেলে না। ফলে সফল ক্যারিয়ারের বিষয়টি অনেকের কাছেই রহস্যজনক হয়েই থাকে। তবে চেষ্টা, উদ্যম এবং সহিষ্ণুতার চর্চা থাকলে যে কোনো ক্ষেত্রেই সাফল্য আসে। একটা বিষয় অনস্বীকার্য, অধিকাংশ মানুষের ক্যারিয়ার গড়ার কারিগর সে নিজেই। আর ভালো ক্যারিয়ার মানেই ভালো চাকরি নয়। ভিন্ন কিছুতেও ভালো ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। উদ্যোক্তা হওয়া, ফ্রিল্যান্সিং, কনসালটেন্সি কিংবা ভিন্ন কোনো পেশায়ও ভালো ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। এসব ক্ষেত্রে বরং আরও স্বাধীনতা এবং উপভোগের সুযোগ থাকে।
সফল ক্যারিয়ার গড়ার কোনো শর্টকাট নেই। তবে এক্ষেত্রে এমন কতগুলো বিষয় আছে যেগুলো বিবেচনায় রাখলে সাফল্যের পথ অনেকটাই মসৃণ হয়ে পড়ে। এইচআর প্রফেশনাল তানিয়া সুলতানা এ বিষয়ে অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। তার সঙ্গে কথা বলে সেগুলো বিন্যস্ত করেছেন— রণক ইকরাম।
‘‘যে কোনো পেশায় ভালো করতে হলে পরিশ্রমী হতে হবে। এইচআর এ কাজ করতে হলে এর পাশাপাশি দরকার মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণের সামর্থ্য। কেননা এইচআর এ কর্মীদের চরিত্র নিয়ে কাজ করতে হয়। ক্ষেত্রবিশেষে কর্মীদের অনেক বিরক্তিকর বিষয় বা দোষগুলোকে গুণে রূপান্তরের কাজ করে এইচআর। একজন এইচআর প্রফেশনাল কর্মীদের কর্মদক্ষতা বা উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করে। মানবসম্পদ একটি প্রতিষ্ঠানের একমাত্র বিভাগ যা কোম্পানির সিইও থেকে শুরু করে একেবারে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পর্যন্ত সবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ফলে এইচআরকে টপ প্রফেশনাল হওয়ার পাশাপাশি অনেক বেশি ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সও রাখতে হয়। এইচআর বিভাগ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুসারে প্রশাসনিক অবকাঠামো এবং প্রতিক্রিয়াশীল ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখে। একজন এইচআরকে হতে হবে দুর্দান্ত ব্যক্তিত্বের অধিকারী, যিনি সবার সঙ্গে সমান গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে মিশতে পারবেন। পাশাপাশি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান, কমিউনিকেশন, টাইম ম্যানেজমেন্ট, জব ম্যানুয়ালস, প্রশাসনিক উন্নয়নসহ সব বিষয়ের সফল সমন্বয় করতে জানতে হবে।
---তানিয়া সুলতানা, এইচআর প্রফেশনাল
---তানিয়া সুলতানা, এইচআর প্রফেশনাল
এইচআর প্রফেশনাল হিসেবে সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছেন তানিয়া সুলতানা। তার স্বামী ডা. জাহিদ পেশায় একজন ডেন্টিস্ট। স্বামী, সন্তান, আর একান্নবর্তী পরিবারের দায়িত্বশীল একজন হয়েও নিজের চেষ্টা, মেধা আর ম্যানেজমেন্ট দিয়ে সফল হয়ে উঠেছেন। নতুন পেশাজীবীদের জন্য মোটিভেশনাল কাজ করতে ভালোবাসেন তিনি। বাংলাদেশ গার্মেন্টস এইচআর প্রফেশনালদের সংগঠন ‘বিশার্প’ এর ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে জড়িত তানিয়া সুলতানা। বর্তমানে কর্মরত আছেন সিলভার লাইন গ্রুপে। বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ এ প্রতিষ্ঠানটির স্পিনিং, টেক্সটাইল, গার্মেন্টসসহ আরও অনেক বিজনেস উইংস রয়েছে। ছাত্রজীবন থেকেই আবৃত্তি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। লেখালেখি করতে ভালোবাসেন তিনি। তানিয়া সুলতানা পড়াশোনা শেষ করেছেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে।
নির্বাচন করুন
পারিপার্শ্বিকতা আর নানাজনের কথায় অনেকে একটা ক্যারিয়ার বেছে নেওয়ার পর দেখা গেল সেটা আর ভালো লাগছে না। ফলে ক্যারিয়ার নির্বাচন বা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। যেমন ক্যারিয়ারের চিন্তাটা মাধ্যমিকে পড়ার সময় থেকেই আসা উচিত। তখন পরিকল্পনা করলে লেখাপড়াটা ক্যারিয়ারের দিকে ঘুরিয়ে নেওয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে কেবল পছন্দ-অপছন্দের বিষয়কে প্রাধান্য না দিয়ে আয়ের ব্যাপারটিও মাথায় রাখতে হবে। কারণ সফল ক্যারিয়ার বলতে আমরা ভালো আয়কেই বুঝি। আবার উল্টো পিঠে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো ক্যারিয়ার বাছাই করা ঠিক হবে না। যে কাজে মন বসে না অথবা অপচ্ছন্দের সে কাজে ক্যারিয়ার না গড়াটাই উত্তম। আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, কোনো ক্যারিয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট এন্ট্রি হিসেবে কাজ করলেও মূল ব্যাপারটা নির্ভর করবে দক্ষতার ওপর। দক্ষতা না থাকলে কোনোভাবেই টিকে থাকা যাবে না। ফলে আপনি যেদিকে সহজে দক্ষ হতে পারবেন সে রকম পেশা বাছাই করতে হবে। তবে মূল পেশার পাশাপাশি অবশ্যই দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোনো পেশাকে বিকল্প পেশা হিসেবে তালিকায় রাখতে হবে।
পারিপার্শ্বিকতা আর নানাজনের কথায় অনেকে একটা ক্যারিয়ার বেছে নেওয়ার পর দেখা গেল সেটা আর ভালো লাগছে না। ফলে ক্যারিয়ার নির্বাচন বা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। যেমন ক্যারিয়ারের চিন্তাটা মাধ্যমিকে পড়ার সময় থেকেই আসা উচিত। তখন পরিকল্পনা করলে লেখাপড়াটা ক্যারিয়ারের দিকে ঘুরিয়ে নেওয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে কেবল পছন্দ-অপছন্দের বিষয়কে প্রাধান্য না দিয়ে আয়ের ব্যাপারটিও মাথায় রাখতে হবে। কারণ সফল ক্যারিয়ার বলতে আমরা ভালো আয়কেই বুঝি। আবার উল্টো পিঠে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো ক্যারিয়ার বাছাই করা ঠিক হবে না। যে কাজে মন বসে না অথবা অপচ্ছন্দের সে কাজে ক্যারিয়ার না গড়াটাই উত্তম। আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, কোনো ক্যারিয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট এন্ট্রি হিসেবে কাজ করলেও মূল ব্যাপারটা নির্ভর করবে দক্ষতার ওপর। দক্ষতা না থাকলে কোনোভাবেই টিকে থাকা যাবে না। ফলে আপনি যেদিকে সহজে দক্ষ হতে পারবেন সে রকম পেশা বাছাই করতে হবে। তবে মূল পেশার পাশাপাশি অবশ্যই দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোনো পেশাকে বিকল্প পেশা হিসেবে তালিকায় রাখতে হবে।
শেখার চেষ্টা, প্রশিক্ষণ
নিজেকে শানিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা থাকতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক সময়ে সবার সঙ্গে তাল মেলাতে হলে নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হবে। ফলে ভালো জব পেতে ও ক্যারিয়ার গঠন করতে হলে শেখার চেষ্টার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয় কিংবা নতুন কোনো বিষয়ে প্রশিক্ষণের সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। প্রশিক্ষণ আপনাকে শানিয়ে তোলার পাশাপাশি অভিজ্ঞ করে তুলবে। নিজের সহকর্মী থেকে শুরু করে যে কোনো পেশাজীবীর কাছ থেকেই শেখার বিষয় আছে। নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে জ্ঞান অন্বেষণ করতেই হবে। তবে এসব ক্ষেত্রে নিজের ক্যারিয়ারের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। অফিস কিংবা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষামূলক ক্যাম্পেইন সেমিনার সিম্পোজিয়াম হলে সেগুলোতে আগ্রহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ থাকতে হবে। কারণ সেখান থেকেও অনেক কিছু জানার আছে, বোঝার আছে। সেগুলো সমসাময়িক ধারণার পাশাপাশি পেশাগত জীবনেও কাজে আসতে পারে।
আত্মবিশ্বাস থাকতেই হবে
সফল মানুষের মাঝে আত্মবিশ্বাসের বিচ্ছুরণ দেখা যায়। কারণ তারা নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখেন। তাদের কাছে প্রথমেই আসে আত্মবিশ্বাস, তারপর অন্য বিষয়গুলো। আর তা আনতে হলে নিচের বিষয়গুলো বুঝে নিন।
সন্দেহ সব সময় নতুন সন্দেহের জন্ম দেয়। আপনার ওপর কেন অন্য কেউ ভরসা আনবেন? যদি নির্ভরতার উপাদানগুলো আপনার কাছে আছে বলে মনে করতে পারেন, তবেই অন্যের কাছে নিজের বিশ্বস্ততা দাবি করতে পারেন। মানুষ যেখানে স্বস্তিবোধ করে না, সেখানে বিশ্বাস আনতে চায় না। কারও ওপর বিশ্বাস আনতে হলে তার সংস্পর্শকে নিরাপদ মনে হতে হবে। সফল ক্যারিয়ারের চারদিকে শক্ত ভিত্তি গড়তে থাকে আত্মবিশ্বাস। যাদের নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস নেই, তারা অভ্যন্তরের নানা পেরেশানিতে ভুগতে থাকেন। সফল মানুষ নিজের ভিতর থেকে কোনো বাধার সম্মুখীন হন না।
লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
বলা হয়ে থাকে লক্ষ্যবিহীন জীবন মাঝি ছাড়া নৌকার মতো। ক্যারিয়ারে সফল হতে হলে ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে চলার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে কোনো কোনো লক্ষ্য স্বল্পমেয়াদি হতে পারে, আবার কোনোটা হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি। লক্ষ্য নির্ধারণের পর সে অনুযায়ী কাজ করা শুরু করে দিন। মাঝে মাঝে নিজের কাজগুলো পর্যালোচনা করুন। কোনো ঘাটতি খুঁজে পেলে সেটা পূরণ করার চেষ্টা করুন। সমস্যা কিংবা বাধার জঞ্জাল এড়িয়ে লক্ষ্য অভিমুখে এগুতে থাকুন।
যোগাযোগ
ক্যারিয়ারে সফল হতে গেলে আপনাকে শতভাগ কমিউনিকেটিভ হতে হবে। ভালো যোগাযোগ আপনার সামনে অনেক সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। অধিকাংশ যোগ্য ব্যক্তি সঠিক কাজ থেকে বঞ্চিত হন কেবলমাত্র ভালো যোগাযোগের অভাবে। সম্পর্কের পরিধি বিস্তৃত হলে সেখান থেকে নতুন চাকরির যেমন ক্ষেত্র তৈরি হয়, তেমনি নতুন নতুন ব্যবসায়িক ধারণাও পেতে পারেন। তাই নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে নতুন-পুরনো সবার সঙ্গেই যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে। তাদের ক্যারিয়ার এবং নিজের ক্যারিয়ার সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে জড়িত থাকতে হবে নিবিড়ভাবে।
কাজকে উপভোগ করুন
কাজকে কখনোই বোঝা মনে করা চলবে না। বর্তমান কাজ সাদরে গ্রহণ করতে শিখুন। সবার আগে কাজকে নেহাত কাজ মনে না করে আনন্দ উপভোগের চেষ্টা করুন। কারণ এই কাজের ফলাফল আপনার জন্য অর্থনৈতিক-পারিবারিক কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে সুখের নিশ্চয়তা আনবে। ফলে কাজকে বোঝা মনে করবেন না। বিরক্তির সঙ্গে কাজ করবেন না। নিজের ভিতরের এ ধরনের মানসিকতা পাল্টে ফেলুন।
আগ্রহী হোন
সব ক্ষেত্রেই আগ্রহ থাকাটা জরুরি। আগ্রহ না থাকলে শেখা যায় না। সবার আগে আপনাকে শুনতে হবে, তারপর মনের মধ্যে জেগে উঠা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার সহকর্মী, বস এবং সিনিয়ররা যা বলে সেটা আমলে নিতে হবে। বিশেষ করে তাদের অভিজ্ঞতা এবং উপদেশের মধ্য থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। একই বিষয় যদি হয় আপনার কাজ বা পেশা বিষয়ক তাহলে নিজস্ব মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে এগোতে হবে। আলোচনার প্রেক্ষিতে আপনি যদি কোনো সমস্যা অনুধাবন করেন তাহলে কাছের কোনো সিনিয়র কিংবা নির্ভরযোগ্য সহকর্মীর কাছ থেকে এর সম্ভাব্য সমাধান জেনে নিন। সেই পরামর্শ অন্ধভাবে অনুকরণ না করে নিজের মতো করে ভাবুন। নিজের আগ্রহ বাড়িয়ে যতটা সম্ভব নিজের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন। সংবাদপত্র, ইন্টারনেট কিংবা বই পুস্তকে সময় দিন।
সময়জ্ঞান
সময়ের মূল্য দিতে না পারলে জীবনে সফল হওয়া যাবে না। তাই সফল ক্যারিয়ার চাইলে অবশ্যই আপনার মধ্যে সময়জ্ঞান থাকতে হবে। চেষ্টা করতে হবে যেন সময়ের কাজ সময়ে করে ফেলতে পারেন। অযথা সময় অপচয় করবেন না। এতে করে কাজের চাপ বেড়ে যায় এবং শেষ সময়ে এসে অতিরিক্ত ভুলের ঝুঁকি বাড়। তাই সময় সচেতন হয়ে উঠুন।
ফোকাসড থাকুন
ব্যক্তিগত জীবনে বিপর্যয় কিংবা শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও সে সবকে একপাশে সরিয়ে মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করুন। একাগ্রচিত্তে নিজের কাজে নিজেকে ব্যস্ত করার চেষ্টা করুন। মনোযোগিতা বাড়াতে পাড়লে পারিপার্শ্বিক সবরকম বাধা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
নমনীয় হোন
বিনয় আর নমনীয় হওয়ার মধ্যে কোনো দ্বিধা-সংশয় থাকা উচিত নয়। একজন নমনীয় মানুষ খুব সহজেই যে কারও মন জয় করে নিতে পারে। উগ্রতা কিংবা অল্পতে রেগে যাওয়ার অভ্যাস খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করে। মোদ্দাকথা হলো জোর করে বা উগ্রতার সঙ্গে কোনো কাজে সফল হওয়া যায় না। কখনো কখনো সাফল্য এলেও সেটা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেই চলে। সে কারণে অল্পতে যাদের মেজাজ খরাপ হয়, তাদের রাগ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। কথায় বলে, ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন!’ রাগ নয়, নমনীয়তার চর্চা বাড়াতে হবে।
সবসময় উন্নতির চেষ্টা
নিজেকে উন্নয়নের চেষ্টা থাকতে হবে প্রতিনিয়ত। নিজের পারফরম্যান্সের গ্রাফটা নিজেকেই পরীক্ষা করতে হবে। সেই গ্রাফ বিবেচনায় সব সময়ই উন্নতির চেষ্টা করতে হবে। অল্পতেই তুষ্ট হওয়া চলবে না। অনেকেই আছেন অল্প সাফল্যের পরই আত্মতুষ্টিতে ভোগা শুরু করেন। কিন্তু এ ধরনের আত্মতুষ্টি আপনাকে পতনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। অতএব থেমে না থেকে অহর্নিশ আত্মোন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
সুস্থ থাকুন
স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে আসলে কোনো কাজেই সফল হওয়া সমম্ভব নয়। এ কারণেই বলে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। অনেকেই দেখা যায় ক্যারিয়ারে সফল হওয়ার আশায় অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ে ফেলে। এরপর অতিরিক্তি পরিশ্রম, ঘুমের সমস্যার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘুম মস্তিষ্ককে কর্মক্ষমতা দেয়। আবার নিয়মিত ব্যায়াম আপনাকে আরও বেশি কর্মক্ষম করে তুলতে পারে। আত্মনিয়ন্ত্রণ, মনোযোগ বৃদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে ঘুম ও ব্যায়াম অপরিহার্য। সর্বোপরি নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে।
© বাংলাদেশ প্রতিদিন
No comments:
Post a Comment