জীবনে কখনোই হেঁচকি ওঠেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। খেতে বসে তাড়াহুড়ার কারণে গলায় খাবার আটকে অনেকেরই হেঁচকি ওঠে। অনেক সময় পানি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে থামে না হেঁচকি। হেঁচকি একটি অস্বস্তিকর সমস্যা। হেঁচকি উঠলে নিজের যেমন কষ্ট হয় আশপাশের মানুষের জন্যও বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আমরা শ্বাস নিই বা নিঃশ্বাস ছাড়ি। এ সময় বক্ষচ্ছদা ওঠানামার সঙ্গে সঙ্গে সহজেই নাক বা শ্বাসনালি দিয়ে বাতাস ভেতরে ঢুকে বা বাইরে যায়। বক্ষচ্ছদা একটি শক্ত মাংসল পর্দার মতো বক্ষপিঞ্জর ও উদরের মধ্যবর্তী সীমানা হিসেবে কাজ করে। এর সংকোচন ও প্রসারণ বক্ষপিঞ্জরের ভেতরের ব্যাস ওপর-নিচ বাড়ায়, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য জরুরি। এর সংকোচন-প্রসারণের অস্বাভাবিকতা হেঁচকি তৈরি করতে পারে।
আমরা শ্বাস নিই বা নিঃশ্বাস ছাড়ি। এ সময় বক্ষচ্ছদা ওঠানামার সঙ্গে সঙ্গে সহজেই নাক বা শ্বাসনালি দিয়ে বাতাস ভেতরে ঢুকে বা বাইরে যায়। বক্ষচ্ছদা একটি শক্ত মাংসল পর্দার মতো বক্ষপিঞ্জর ও উদরের মধ্যবর্তী সীমানা হিসেবে কাজ করে। এর সংকোচন ও প্রসারণ বক্ষপিঞ্জরের ভেতরের ব্যাস ওপর-নিচ বাড়ায়, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য জরুরি। এর সংকোচন-প্রসারণের অস্বাভাবিকতা হেঁচকি তৈরি করতে পারে।
হেঁচকি কীভাবে হয়
বক্ষচ্ছদার স্বাভাবিক সংকোচন-প্রসারণ ছন্দ এলোমেলো হয়ে গেলে হেঁচকি হয়। তখন মাংসল পর্দাটি সমতল হয়ে ফুসফুসকে প্রসারিত হওয়ার জায়গা করে দেয়। একই সময় আলজিভ নামক ছোট মাংস পিণ্ডটি খাদ্যনালির পথ বন্ধ করে দেয়। যেন তারা শ্বাসনালিতে ঢুকতে না পারে।
আসুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে হেঁচকি ওঠা শুরু হলে তা বন্ধ করবেন যেভাবে-----------
ঠাণ্ডা পানি
হেঁচকি উঠলে এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি কয়েক ঢোকে খেলে হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়। ঠাণ্ডা পানি হেঁচকি ঠেকাতে বেশ উপকারী। এছাড়া ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গড়গড়া করা যেতে পারে।
ঝাল খাবার এড়ানো
অতিরিক্ত ঝাল খাবার খাওয়ার কারণে অনেক সময় খাদ্যনালিতে ও পাকস্থলিতে জ্বালা-পোড়া হয়। এর ফলে হেঁচকি ওঠার সম্ভাবনা বাড়ে। অতিরিক্ত ঝাল খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।
মিষ্টি খাবার
নার্ভ ওভারলোডের কারণে অনেক সময় হেঁচকি শুরু হয়। এক্ষেত্রে দেখা গেছে যে মিষ্টি খাবার খেলে হেঁচকি ওঠা কমে যায়। হেঁচকি উঠলে এক চামচ চিনি মুখ নিয়ে রেখে দিন বেশ কিছুক্ষণ। একটু পরে দেখবেন হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়ে গেছে।
অতিরিক্ত মদ্যপান
দ্রুত ঢক ঢক করে মদ খেলে অনেক সময় হেঁচকি উঠতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত মদ্যপানে হেঁচকি ওঠার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই মদ্যপান এড়ালে হেঁচকি ওঠার সমস্যা কমে যায়।
অ্যান্টাসিড
মিনারেল নার্ভের ইরিটেশন কমায় ও নার্ভকে শান্ত করে। তাই ম্যাগনেশিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিডের একটি বা দুটি ট্যাবলেট খেলে হেঁচকি ওঠা কমে যায় অনেকেরই।
ধীরে খান
অনেক তাড়াহুড়া করে খাবার খান। এটি কোনোভাবেই ঠিক নয়। কারণ দ্রুত খাবার খেলে তা গলায় আটকে যায় এবং পরবর্তীতে হেঁচকি ওঠে। তাই খাবার খাওয়ার সময় সাবধানে খাবার খেতে হবে।
ব্যায়াম
হেঁচকি বন্ধের একটি ভালো ব্যায়াম আছে। মেঝেতে শুয়ে হাঁটু ভাঁজ করে পেটের ওপর নিয়ে আসতে হবে। এ অবস্থায় হাঁটু পেটের ওপর ২-৩ সেকেন্ড চেপে ধরে রাখতে হবে। এটি বক্ষচ্ছদার ওপর চাপ দিয়ে তাকে ছন্দে ফিরিয়ে আনতে পারে।
No comments:
Post a Comment