তওবার সহজ ও সঠিক পদ্ধতি কী?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
জুমাবারের বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৫২১তম পর্বে তওবার সহজ ও সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে ধানমণ্ডি থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন আসাদুজ্জামান চৌধুরী মিন্টু। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : তওবার সহজ ও সঠিক পদ্ধতি কী?
উত্তর : তওবার সহজ পদ্ধতি হচ্ছে, আপনি যে অপরাধ করেছেন, তার জন্য আল্লাহতায়ালার কাছে অনুতপ্ত হবেন, নিজের অপরাধবোধ যদি সত্যিকার অর্থে জাগ্রত হয়, তার স্বীকৃতি প্রদান করবেন। এটি নবীর (সা.) একটি হাদিস, হাদিসটি সনদের দিক থেকে গ্রহণযোগ্য।
এই হাদিসে বলা হয়েছে, ‘তওবা হচ্ছে মূলত প্রকৃত অনুতপ্ত হওয়া। সত্যিকার অপরাধবোধ যদি আপনার মধ্যে জাগ্রত না হয়, তাহলে তো আসলে এখান থেকে আপনি প্রত্যাবর্তন করতে পারবেন না। শুধু মৌখিক তওবার কোনো ফজিলত নেই। তাই আপনার অন্তরের মধ্যে প্রথমে সত্যিকার অপরাধবোধ আসতে হবে।
দ্বিতীয়ত হচ্ছে, এই অপরাধ থেকে, গুনাহ থেকে নিজেকে পরিপূর্ণরূপে বিরত রাখতে হবে। নির্দিষ্ট এই অপরাধ থেকে নিজেকে বিরত রাখাই হচ্ছে প্রকৃত তওবা।
তৃতীয়ত হচ্ছে, এই অপরাধের স্বীকৃতি দিয়ে আপনি মৌখিকভাবে আল্লাহতায়ালার কাছে ইস্তেগফার ও ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।
চতুর্থত হচ্ছে, এই অপরাধের জন্য আপনার যে ত্রুটি হয়েছে, সেটি পূরণ করার জন্য আপনি বেশি বেশি ভালো কাজ করবেন।
পঞ্চমত, সব ওলামায়ে কেরামের ঐকমত্যে এটি সাব্যস্ত হয়েছে যে, যদি আপনার গুনাহের জন্য কারো হক নষ্ট হয়, তাহলে সেই হকটুকু তাঁর কাছে পৌঁছে দেবেন বা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
এটাই হচ্ছে মূলত প্রকৃত তওবা এবং এই কাজগুলো যদি কেউ করে থাকেন, তাহলে তিনি তওবা করেছেন। এই কাজগুলো যদি তিনি না করে থাকেন, মুখে যদি লক্ষবার তওবা তওবা বলেন, তাহলে তাঁর এই কাজটি মূলত তওবা হবে না। এটি হবে মৌখিক তওবা, মৌখিক বা লৌকিক তওবা ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়।

No comments:

Post a Comment