একজন উদ্যোক্তার গল্প

বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির পাশাপাশি ই-কমার্সের প্রসার হচ্ছে চোখে পড়ার মতো। এ খাতে কাজ করছেন হাজার হাজার তরুণ উদ্যোক্তা। তাদের একজন দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান টাকশাল ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুব হাসান। প্রথম পর্যায়ে শুধু ঘড়ি দিয়ে ই-কমার্স সাইট চালু করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। শিগগিরই টাকশালে পাওয়া যাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী। তিনি নতুন উদ্যোক্তাদের চ্যলেঞ্জ ও করণীয় নিয়ে কথা বলেছেন যুগান্তরের সঙ্গে।

যুগান্তর: আপনার উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প জানতে চাই।
মাহাবুব হাসান: আসলে আমার উদ্যোক্তা হওয়ার কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না। আমার ক্যারিয়ার শুরু হয় একটি পত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে। সেখানে কিছু দিন কাটানোর পর আমি বুঝতে পারি- আমি আসলে কিছু শিখছি না। তাই চাকরি ছেড়ে দিই। এর পর সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ করা শুরু করি। চাকরি করতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে আমি পুরোপুরি মেধা ও শ্রম কাজে লাগাতে পারছি না। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে, নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান খুলে ফেলি; যেখানে আমি আমার মেধা ও শ্রমের পর্যাপ্ত ব্যবহার করতে পারব।

যুগান্তর: কোন ভাবনা থেকে আপনাদের এই ই-কমার্স প্রকল্প শুরু করেন? প্রথমে কী কী সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন?
মাহাবুব হাসান: নিজে কিছু একটা করব, উদ্যোক্তা হব, ব্যবসায়ী হব, সেরা ধনীদের একজন হব, সুপারম্যান হব, সুপার হিরো হব ভাবতাম। ছোটবেলার এমন স্বপ্ন আমি কবরে পাঠাইনি। ছোটবেলা যে স্বপ্ন দেখেছি, আমি সেগুলো লালন করেছি । অনিশ্চয়তা দেখে ইঁদুরের মতো গর্তে মুখ লুকিয়ে বলিনি- চাকরিই তো ভালো। মাস গেলেই বেতন। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য, নিজে কিছু করার জন্য চেষ্টা করেছি- বিফল হয়েছি, আবার করেছি। কেউ কেউ দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন এই চাকরি নামক নিরাপত্তার খোঁজে। কখনওবা প্রতারণায় পড়ে নিজেকে সপে দিয়েছেন মৃত্যুর মুখে কিংবা হারিয়েছেন শেষ সম্বল ভিটা মাটিটুকুও। কিন্তু আমি তাদের মতো হইনি। আমি ঝুঁকি নিয়েছি। একটা ঝুঁকি নিয়ে যদি জীবনের স্বাদ গ্রহণ করা যায়, স্বপ্নগুলোকে আলোর মুখ দেখানো যায়, দাসত্ব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তা হলে কীসের এত ভয়? রোম যেমন একদিনে তৈরি হয়নি, সফলতাও একদিনে আসবে না- এটুকু বুঝতে কেন এত অসুবিধা হয়? তাই আমি টাকশালডটকম শুরু করি। আর আমার স্বপ্নকে বাস্তবের রূপ দিতে শুরু করি। শুরুতে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে সেগুলো মোকাবেলা করেছি। মার্কেটিং করা, পেমেন্ট সিস্টেম নির্বাচন করা, পণ্য ডেলিভারি নিয়ে ভাবা, কাস্টমার সাপোর্ট- এসব সমস্যা সবারই কমবেশি থাকে।

যুগান্তর: নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য কী কী সমস্যা বাংলাদেশে রয়েছে? আপনি কীভাবে সেগুলো সমাধান করলেন?
মাহাবুব হাসান: বাংলাদেশে ই–কমার্সে লেনদেনের সিংহভাগ এখনও ক্যাশ-অন-ডেলিভারি প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে। কার্ডে লেনদেন এখনও অনেক কম।  আমাদের কুরিয়ার সার্ভিস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মালিক পক্ষ এবং ই-কমার্স পেমেন্ট গেটওয়ে প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়েছে এই সমস্যা সমাধানে। প্রত্যেকে তাদের নিজেদের অবস্থান থেকে অনলাইনে কার্ডে পেমেন্ট করাকে উৎসাহিত করতে হবে। তা হলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি। এতে প্রত্যেক পক্ষই উপকৃত হবে এবং কার্ডে লেনদেন বাড়বে বলে আমি বিশ্বাস করি। তবে এ যাত্রায় সমস্যা রয়েছে। এখনও আমাদের সব ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড অন করে (চালু) রাখে না। ফোন করে অন করাতে হয়। এ বিষয়গুলোর যত দ্রুত সমাধান করা যাবে,  ততই আমরা ই-কমার্সের পরিপূর্ণ সুফল ভোগ করতে পারব। বাংলাদেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি সাধারণ অভিযোগ হচ্ছে, পেমেন্ট গেটওয়ে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চহারে চার্জ করে। এক্ষেত্রে আমরা যদি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে নজর দিই, তা হলে বুঝতে পারব আসলে আমাদের স্থানীয় বাজারে এর হার বেশি কিনা। এটিও সত্যি যে, কিছু প্রতিষ্ঠান উচ্চহারে চার্জ করছে। তবে হ্যাঁ বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পূর্ণরূপে পেমেন্ট সুইচ চালু  করলে কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে। ভিসা ও মাস্টার কার্ডের খরচ অনেক কমে আসবে। এতে করে সব ব্যাংক একটি পদ্ধতির মধ্যে চলে আসবে।

যুগান্তর: আপনি কাজের জন্য এই সেক্টরটিকেই কেন বেছে নিলেন?
মাহাবুব হাসান: এখন চারদিকে প্রচুর দোকান। আপনি যে পণ্যেরই ব্যবসা শুরু করুন না কেন, আপনি একাই সেই ব্যবসা করছেন না- আছে আরও অনেক বিক্রেতা। তাই আলাদাভাবে নজরে পড়তে আপনার পণ্যকে হতে হবে যথেষ্ট আলদা। ভিন্নতাই হবে একমাত্র কৌশল, যা ক্রেতাকে হাজার অনলাইন শপের ভিড়ে ফিরিয়ে আনবে আপনার কাছে। প্রতিযোগিতার বাজারে নিজের অনলাইন ব্যবসাকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে একটিই উপায়- আপনাকে থাকতে হবে সদা উদ্যমী। অলসতা ভুলে নিতে হবে কঠিন পরিশ্রমের জন্য মানসিক প্রস্তুতি। ব্যবসা করব করব ভেবে অনেকেই  করে বসেন রাজ্যের ভুল। আপনার সেই ভুলের ফায়দা নিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠান ভোগ করে মুনাফা। আমি কাউকে এ সুযোগ দিতে চাইনি। তাই আমিই হাজির হয়েছি টাকশালডটকম নিয়ে। যে কোনো ধরনের ঘড়ির সমারোহ পাবেন আমার এই অনলাইন শপে। আপনার হয়তো সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নেই। আমি আপনার সেই ইচ্ছাও পূরণ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনি জামানত ছাড়াই আমার অনলাইন দোকান থেকে আপনার পছন্দের ঘড়িটি কিনতে পারবেন। এটি একটি নতুন আইডিয়া, যা আমি বাস্তবে রূপ দিতে চেয়েছি।

যুগান্তর: আশানুরূপ সাড়া পেয়েছেন কি? সম্ভাবনা কেমন দেখছেন?
মাহাবুব হাসান: একটুতে হাফিয়ে ওঠা বাঙালি আমরা। কোনো  কিছুতে দীর্ঘক্ষণ স্থির রাখতে পারি না নিজেকে। একদণ্ড সুস্থির হয়ে বসার মতো সময়ও যেন নেই। কৌতূহলের জন্য যদি নোবেল দেওয়ার ব্যবস্থা থাকত, তবে নিশ্চিত বাঙালি সবার প্রথমে অর্জন করত। রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টের বাতি লাগানোর দৃশ্যও কৌতূহলী বাঙালি হাঁ করে গিলতে পারে। কিন্তু আমি বাঙ্গালির এই চিরাচরিত চেহারা পাল্টে দিতে চাই। আমি যেখানেই গেছি, সেখানেই সাড়া পেয়েছি। আমার নতুন আইডিয়া বিশেষ করে যুবসমাজের কাছে চরম গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

যুগান্তর: আপনাদের এখন পর্যন্ত কী ধরনের সফলতা এসেছে?
মাহাবুব হাসান: আমরা সাধারণ একটি আউটসোর্সিং কোম্পানি থেকে বাংলাদেশের বাজারে অনলাইন ঘড়ি বিক্রির বড় প্লাটফর্মের পরিণত হতে যাচ্ছি। আমরা ঘড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে গুণগত মান এবং অভিনব পন্থা ব্যবহার করেছি। এখন কোনো জামানত ছাড়াই বাকিতে একজন তার প্রিয় শখের ঘড়ি ক্রয় করতে পারে।

যুগান্তর: আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কারা?
মাহাবুব হাসান: মারিও কুওমো-এর কথা দিয়েই শুরু করি। মাত্র দুটি পন্থায় সফল হওয়া যায়! একটি হচ্ছে- সঠিক লক্ষ নির্ধারণ করা; ঠিক যা তুমি করতে চাও। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে-  সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া। আমি এটি সব সময় মেনে চলার চেষ্টা করি। তবে একজনের কথা বলতে ইচ্ছা করছে, যাকে দেখে আমার মনে আরও এগিয়ে যাওয়ার বাসনা তৈরি হয়েছে। তিনি আর কেউ নন তিনি বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলক। ২০১৬ সালের মার্চে ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাকে ইয়াং গ্লোবাল লিডার ২০১৬’ হিসেবে মনোনীত করে। আমিও এমন কিছু স্বপ্ন দেখি। অনুপ্রাণিত হই কীভাবে তিনি এগিয়ে গেলেন, কীভাবে তিনি কঠিন সময় সামলে এগিয়ে চলেন। পরিশেষে আরেকটি কথা বলে ইতি টানছি। মার্ক জুকারবার্গ এর কথাটিও আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। তিনি বলেছিলেন, আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই স্বপ্নে আস্থা ছিল। আর আমি কাজটা ভালোবাসতাম। ফেসবুক বিফল হলেও আমার ভালোবাসাটা থাকত। জীবনে একটা স্বপ্ন থাকতে হয়। সেই স্বপ্নকে ভালোও বাসতে হয়। আমি আমার স্বপ্নকে ভালোবাসি। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি।

যুগান্তর: মূলধনের বিষয়ে কীভাবে সহায়তা পেয়েছেন। আপনার মার্কেটিং পলিসিই বা কেমন ছিল?
মাহাবুব হাসান: তখন সবে ঢাকা এসেছি। কাজ করতাম একটি কম্পিউটারবিষয়ক পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে। সেটিই আমার চিন্তাভাবনা পাল্টে দেয়। কিছু ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতাম। সেখানে আমার রেটিং বেশ ভালো ছিল। সেটিকেই মূলত আমাদের ব্যবসার মূলধন হিসেবে ধরতে পারেন। আর টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছে ছয়-সাত লাখের মতো। সেই টাকা এসেছিল আমার নিজের জমানো টাকা থেকে। আমি ব্যাংক থেকে কোনো সাহায্যই পাইনি; কিন্তু এগুলো আমার পথে কোনো বাধা হতে পারেনি। আইটি সেক্টরে লোন পাওয়া এখনও কষ্টকর। কিন্তু আমি থেমে যাইনি। আমি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে চেয়েছিলাম। সেটিই ছিল আমার মার্কেটিং পলিসি। সাধারণ ভোক্তার হাতে তার পছন্দের পণ্য পৌঁছে দেওয়া।
যুগান্তর: নতুন উদ্যোক্তাদের ভুলগুলো কোথায় হয়। আপনার কোনো পরামর্শ আছে তাদের জন্য?

মাহাবুব হাসান: অনেকে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগেন। মনে করেন, নতুন উদ্যোক্তা হওয়ার যোগ্যতা তার নেই। অথবা এটি তিনি আশা করতে পারেন না। পুঁজিবাদী সমাজে যে কেউ নতুন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারেন। আয়ের একটি উৎসের ওপর নির্ভর করে থাকাটাও নতুন উদ্যোক্তা হওয়ার পথকে সরু করে দেয়। ভুল মানুষের চারপাশে থেকে কোনো লাভ নেই, বরং ক্ষতি। উদ্যোক্তারা এমন মানুষের চারপাশে থাকেন বা এমন মানুষকে রাখেন, যারা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে পথ চলেন। উদ্দীপ্ত মানুষের সঙ্গে থাকলে নিজেরও উদ্দীপনার অভাব ঘটে না। ঝুঁকি কেউ-ই নিতে চান না। আবার সব সময় শতভাগ নিরাপত্তার সঙ্গে কাজ করা সম্ভব হয় না। তবে ঝুঁকি নিয়ে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। জীবনের কিছু ক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থেই বড় ঝুঁকি নিতে হবে। সব সময় ঝুঁকিবিহীন কাজের মাধ্যমে বড় কিছু কখনই মিলবে না। একটি কথা বলি- কেবল অর্থের জন্য শ্রম দিয়ে থাকেন, তবে ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি আসবে না। কিন্তু যদি অর্থ আপনার জন্য প্রবাহিত হয়, তবে সব মিলবে। আপনার হাতে আসবে নিয়ন্ত্রণ। শ্রমের বিনিময়ে কাজ করার বিষয়টি সবচেয়ে সহজ। এ শিক্ষাই আমরা পেয়ে থাকি। কিন্তু যে অর্থ আপনার আছে তা যদি নিজের জন্য ক্রিয়াশীল হয়, তবেই আপনি ধনী হতে পারবেন। দিনশেষে আমরা সবাই ধনী হতে চাই। আমরা ভালো থাকতে চাই। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে চাই। সুন্দর সমাজ গড়তে চাই। আর এসব তখনই সত্য হবে যখন আপনি নিজের সব জড়তা দূর করে এগিয়ে যাবেন। নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে কাজে অগ্রগতি আনা যায় না। যে কোনো কাজে সফল হওয়ার ইতিবাচক মানসিকতা থাকতে হবে। যারা হতাশ হয়ে পড়েন এবং আশাবাদী থাকতে পারেন না, তারা কখনই দ্রুতগতিতে এগোতে সক্ষম হন না। সব থেকে বড় কথা হল- ব্যর্থতা এড়িয়ে যাওয়া উদ্যোক্তাদের লক্ষ্য নয়। তারা ব্যর্থতা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেন। বেশিরভাগ মানুষ উদ্যোক্তা হওয়ার দৌড়ে ব্যর্থ হন। কারণ তারা ব্যর্থতাকে মেনে নেন, এ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেন না। উদ্যোক্তারা ভুল থেকে শিক্ষা নেন, যার মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে বড় ভুল এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।

যুগান্তর: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মাহাবুব হাসান: সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি নানারকম রিসার্চ করে আমার এই অনলাইন শপকে অনন্য উচ্চতায় নিতে চাই। ভবিষ্যতে নিত্যনতুন প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা ও কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। এ ছাড়া দেশের বাইরেও অফিস খোলার পরিকল্পনা আছে। আর দেশের প্রোগ্রামিং সংস্কৃতির বিকাশে ব্যক্তিগতভাবে কাজ করতে চাই। অদূর ভবিষ্যতে ডিজিটাল ওয়ালেট সিস্টেম চালু করার পরিকল্পনা আছে; যাতে সহজে পেপলের মতো ওয়ালেটমিক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ক্রেডিটভিত্তিক পেমেন্ট করা যায়। এতে করে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এবং ক্রেতা উভয়পক্ষই উপকৃত হবেন আশা করি।

No comments:

Post a Comment