আমরা সাধারণত বাসায় রান্না করার পরে সময় বাঁচানোর জন্য সেই খাবার আবার পরের দিনের জন্য রেখে দিই। পরেরদিন আবার সেই খাবার পুনরায় গরম করেই খাই।
কিন্তু সেই খাবার পুনরায় গরম করে খাওয়া অনেক ক্ষতিকর, এতে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক গুন বেড়ে যায়। অথচ আমরা এমন কিছু খাবার আছে যা প্রতিদিন পুনরায় গরম করে খাচ্ছি। এরকম ৮টি খাবারের সম্পর্কে আজ জেনে রাখুন যেগুলো ভুলেও পুনরায় গরম করবেন না। কারণ এগুলো দ্বিতীয়বার গরম করলে বিষাক্ত হয়ে ওঠে।
১. মুরগির মাংস
অনেকেই সময় বাঁচানোর জন্য একবারেই অনেক মুরগির মাংস রান্না করে রাখি কিন্তু মুরগির মাংস বার বার গরম করে খাওয়া উচিত নয়। কারণ মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। রান্নার পরে ফের তা গরম করলে প্রোটিনের কম্পোজিশন বদলে গিয়ে তা থেকে বদহজম হতে পারে।
২. চা
এটা আমরা অনেকেরই জানা যে একবার চা বানানোর পর তা ঠান্ডা হয়ে গেলে পুনরায় গরম করা উচিত নয়। কারণ চায়ের মধ্যে ট্যানিক অ্যাসিড থাকে।
এটা আমরা অনেকেরই জানা যে একবার চা বানানোর পর তা ঠান্ডা হয়ে গেলে পুনরায় গরম করা উচিত নয়। কারণ চায়ের মধ্যে ট্যানিক অ্যাসিড থাকে।
তৈরি করা চা ফের গরম করে পান করলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
৩. ভাত
ভাত রান্না করার সময় তাতে বেসিলস সিরিয়াস ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়। রান্না করা ভাত ফের গরম করলে এই ব্যাক্টেরিয়া সংখ্যায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়ে ডায়েরিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
৪. আলু
আলু রান্না বা সেদ্ধ করার পরে ঠাণ্ডা হওয়ার সময় তাতে বটুলিজম নামে একটি ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়। ফের তা গরম করলে এই ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যাগুলি বেড়ে গিয়ে ফুড পয়জনিং পর্যন্ত হতে পারে।
আলু রান্না বা সেদ্ধ করার পরে ঠাণ্ডা হওয়ার সময় তাতে বটুলিজম নামে একটি ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়। ফের তা গরম করলে এই ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যাগুলি বেড়ে গিয়ে ফুড পয়জনিং পর্যন্ত হতে পারে।
৫. ডিম
ডিমের মধ্যেও বেশি পরিমাণে প্রোটিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টস থাকে। রান্নার পরে আবার তা গরম করলে ডিম থেকে টক্সিন তৈরি হবে যা থেকে বদহজমের আশঙ্কা তৈরি হয়।
ডিমের মধ্যেও বেশি পরিমাণে প্রোটিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টস থাকে। রান্নার পরে আবার তা গরম করলে ডিম থেকে টক্সিন তৈরি হবে যা থেকে বদহজমের আশঙ্কা তৈরি হয়।
৬. পোড়া তেল বা খাবার তেল
আমরা অনেকেই খাবার রান্নার পর অবশিষ্ট তেল রেখে দেই পরবর্তী কোন খাবার রান্নার জন্য কিন্তু একবার ও কি খেয়াল করেছি এটা আমাদের শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর । পোড়া তেল ফের গরম করে রান্নায় ব্যবহার করলে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
আমরা অনেকেই খাবার রান্নার পর অবশিষ্ট তেল রেখে দেই পরবর্তী কোন খাবার রান্নার জন্য কিন্তু একবার ও কি খেয়াল করেছি এটা আমাদের শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর । পোড়া তেল ফের গরম করে রান্নায় ব্যবহার করলে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
৭. পালং শাক
এছাড়াও পালং শাকও রান্নার পর পুনরায় গরম করা উচিত নয়। পালং শাকে অতিরিক্ত পরিমাণে নাইট্রেটস থাকে। রান্না করা পালং শাক ফের গরম করে খেলে শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বেশি মাত্রায় ঢুকতে পারে।
এছাড়াও পালং শাকও রান্নার পর পুনরায় গরম করা উচিত নয়। পালং শাকে অতিরিক্ত পরিমাণে নাইট্রেটস থাকে। রান্না করা পালং শাক ফের গরম করে খেলে শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বেশি মাত্রায় ঢুকতে পারে।
৮. মাশরুম
সাধারনত মাশরুমের ফাইবার ও এনজাইম হজমে সহায়তা করে। এটি অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কাজ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং কোলন-এর পুষ্টি উপাদান শোষণকেও বাড়াতে সাহায্য করে। আর তাই মাশরুম একবার রান্নার পরে দ্বিতীয়বার গরম করে খেলে তা আমাদের পেটের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
সাধারনত মাশরুমের ফাইবার ও এনজাইম হজমে সহায়তা করে। এটি অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কাজ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং কোলন-এর পুষ্টি উপাদান শোষণকেও বাড়াতে সাহায্য করে। আর তাই মাশরুম একবার রান্নার পরে দ্বিতীয়বার গরম করে খেলে তা আমাদের পেটের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
৯. স্যুপ
স্যুপের মাংস এবং সেলারি শাক কখনোই দ্বিতীয়বার গরম করা উচিত নয়। কারণ এতে তাদের পুষ্টিগুন নষ্ট হয়।
স্যুপের মাংস এবং সেলারি শাক কখনোই দ্বিতীয়বার গরম করা উচিত নয়। কারণ এতে তাদের পুষ্টিগুন নষ্ট হয়।
১০. রোস্ট করা লাল মাংস
এমনকি রোস্ট করা লাল মাংসও দ্বিতীয়বার গরম করলে এর প্রোটিনের রাসায়নিক কাঠামো এমনভাবে বদলে যায় যে তা আমাদের হজম প্রক্রিয়ায় গন্ডগোল সৃষ্টি করতে পারে।
এমনকি রোস্ট করা লাল মাংসও দ্বিতীয়বার গরম করলে এর প্রোটিনের রাসায়নিক কাঠামো এমনভাবে বদলে যায় যে তা আমাদের হজম প্রক্রিয়ায় গন্ডগোল সৃষ্টি করতে পারে।
১১. সেলারি ১২. স্পিনাক ১৩. বিট
এই তিনটি সবজিতে একটি কমন উপাদান আছে- নাইট্রেট। যা দ্বিতীয়বার গরম করলে ক্ষতিকর কার্সিনোজেনিক-এ রুপান্তরিত হতে পারে। নাইট্রেট নিজে একদমই ক্ষতিকর নয়। কিন্তু তা দ্বিতীয়বার গরম করলে প্রথমে নাইট্রাইটস পরে নাইট্রোস্যামিনস-এ রুপান্তরিত হতে পারে। নাইট্রোস্যামিনদের কয়েকটি কার্সিনোজেনিক হিসেবে পরিচিত।
এই তিনটি সবজিতে একটি কমন উপাদান আছে- নাইট্রেট। যা দ্বিতীয়বার গরম করলে ক্ষতিকর কার্সিনোজেনিক-এ রুপান্তরিত হতে পারে। নাইট্রেট নিজে একদমই ক্ষতিকর নয়। কিন্তু তা দ্বিতীয়বার গরম করলে প্রথমে নাইট্রাইটস পরে নাইট্রোস্যামিনস-এ রুপান্তরিত হতে পারে। নাইট্রোস্যামিনদের কয়েকটি কার্সিনোজেনিক হিসেবে পরিচিত।
No comments:
Post a Comment