তিনবেলা খাবারের মাঝে যাদের একটু বেশি বেশি ক্ষুধা লাগে, তাদের চেবানোর মতো কিছু খাবার লাগে। এই চাবানোর জিনিসটা যদি একটু বেছে নেন, তো একটা বড় ধরনের ঝুঁকি থেকে বেঁচে যাবেন।
বিশেষজ্ঞরা শুকনো ফলের কথা বলেছেন। যদি মাঝে মাঝেই শুকনো ফল খেতে পারেন, তবে কার্ডওভাসকুলার ডিজিসের ঝুঁকিমুক্ত হতে পারবেন। ইন্টারন্যাশনাল নাট অ্যান্ড ড্রাইড ফ্রুট কাউন্সিলের (আইএনসি) এক গবেষণায় শুকনো ফলের নানাবিধ গুণের কথা তুলে ধরা হয়।
গবেষণায় ইনফ্লামাটরি সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের দেহে বাদাম ও শুকনো ফলের উপকারিতা পরীক্ষা করা হয়। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যেও অনুসন্ধান চালানো হয়েছে।
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয় বিএমজে ওপেন জার্নালে। মূলত ৩৬টি আর্টিক্যাল এবং ৩২টি মৌলিক গবেষণা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বাদাম ও শুকনো খাবার খেতে দেওয়া হয়। একেকজন মানুষ একেক পরিমাণ বাদাম ও শুকনো খাবার গ্রহণ করেন।
যদি প্রতিদিন ১৮-৮৫ গ্রাম এই খাবার গ্রহণ করা যায়, তবে স্পষ্ট উপকার মিলবে।
বাদাম ও শুকনো ফলের মিশ্রণও পাওয়া যায় বাজারে। এগুলো খেলে ফ্লো-মেডিয়েটেড ডাইলেশন প্রক্রিয়ার ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়। মূলত এন্ডোথেলিয়াল ফাংশন বুঝতে ফ্লো-মেডিয়েটেড ডাইলেশন পর্যবেক্ষণ করা হয়। এন্ডোথেলিয়ালের কার্যকারিতা ও স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হলে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিসের ঝুঁকি বাড়ে।
২০১১ সালে ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথোরিটির আরেক গবেষণায় বলা হয়েছিল, ওয়ালনাটসহ বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং শুকনো ফল রক্তবাহী নালীর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে।
বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন যে, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিসের ঝুঁকি কমাতে যা দরকার, তারই সরবরাহ দেয় বাদাম ও শুকনো ফল।
এসব খাবারের আরো কিছু উপকারিতা আছে। যেমন-
১. এরা ভক্ষণযোগ্য ফাইবারে ভরপুর যা হজম প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু করে।
২. এগুলোতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হৃদরোগ, ক্যান্সার, অস্টেয়োপরোসিস, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং মস্তিষ্কের ডিজেনারেটিভ ডিজিস প্রতিরোধে কার্যকর।
৩. এরা ভিটামিন, খনিজ, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের উন্নত উৎস।
৪. শুকনো ফল কিন্তু শক্তির অন্যতম উৎস।
আউটসোর্সিং ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনার সাথে থাকছে.. গুরুত্বপূর্ণ সফট্ওয়্যার, অনলাইন জগতের বিশেষ খবর, অতিপ্রয়োজনীয় টিপস & ট্রিকস- সহ আরও কিছু আপডেট তথ্য, যা আপনার অনলাইন জীবনকে সমৃদ্ধশালী করতে সহায়ক হবে- উন্মুক্ত ‘সংগ্রহশালা’
বাদাম আর শুকনো ফলের উপকারিতা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment