একটি জাতীয় পরিচয় পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি মোবাইল সিম বা রিম রাখা যাবে না। ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে বাড়তি সিম নিষ্ক্রিয় করতে বলা হয়েছে। এ সময়সীমার মধ্যে গ্রাহকরা স্বেচ্ছায় অতিরিক্তি সিম নিষ্ক্রিয় না করলে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের মাধ্যমে সেগুলোর নিবন্ধন বাতিল ও বন্ধ করে দেয়া হবে। এদিকে কর্পোরেট গ্রাহকের ক্ষেত্রে সিম সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়া বাস্তব সম্মত নয়। তাই কোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সিম বা রিম কেনার জন্য অনুমোদিত ব্যক্তি এ সীমার আওতামুক্ত থাকবেন।
আজ দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটরকে পাঠানো এক নির্দেশনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এসব শর্তের কথা উল্লেখ করে। বিটিআরসি বলেছে, গ্রাহকদের কাছে ১৫টির বেশি সিম থাকলে তা অবৈধ। সুতরাং তাকে ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের নিজস্ব কাস্টমার কেয়ারে উপস্থিত হয়ে অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করে ফেলতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কোনো গ্রাহকের পাসপোর্ট, এনআইডি, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা জন্ম নিবন্ধন সনদের বিপরীতে কতটি সিম রয়েছে তা দুটি পদ্ধতিতে জানা যাবে। এগুলো হচ্ছে- *১৬০০১# নম্বরে ডায়াল করলে ইউএসএসডি কোডে তার কাছে এনআইডির শেষ ৪ ডিজিট জানতে চাওয়া হবে। তা লিখে সেন্ড করলে ফিরতি এসএমএসে জানিয়ে দেয়া হবে তার নামে থাকা সিমের সংখ্যা। অথবা এনআইডি নম্বরের শেষ ৪ ডিজিট লিখে ১৬০০১ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ওই এনআইডির বিপরীতে সিম সংখ্যা জানতে পারবেন গ্রাহক।
কর্পোরেট গ্রাহকদের বিষয়ে বিটিআরসি জানিয়েছে,করপোরেট গ্রাহকের ক্ষেত্রে এ সীমা বাস্তবসম্মত নয় বলে কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য সিম/রিম কেনার জন্য অনুমোদিত ব্যক্তি (পয়েন্ট অব কন্টাক্ট) ওই সর্বোচ্চ সীমার আওতামুক্ত থাকবেন। এতে বলা হয়েছে,নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো গ্রাহক তার অতিরিক্ত সিম/রিম স্বেচ্ছায় নিষ্ক্রিয় না করে থাকলে পরবর্তীতে কমিশন নির্ধারিত পদ্ধতির ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সংযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত বছরের ১২ জুন সরকারের নির্দেশনায় গ্রাহক প্রতি ২০টি সংযোগ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ৪ আগস্ট এ সংখ্যা কমিয়ে ৫টি নির্ধারণ করে সরকার। গত ২৪ অক্টোবর ১৫টি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। বিটিআরসি’র সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের পক্ষ থেকে এ সংখ্যা মেনে চলতে আবারো নির্দেশনা পাঠানো হলো। সংশ্লিষ্টরা জানান,বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের পর সকল গ্রাহকের তথ্য বিটিআরসি’র কাছে সংরক্ষিত আছে। এতে অপরাধ প্রবণতা কমে এসেছে বলে দাবি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের। কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারের মাধ্যমেও জানা যাচ্ছে, কার কাছে কতোটি সিম রয়েছে।
No comments:
Post a Comment