জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার একটা বড় অংশ হলো ইন্টার্নশিপ। স্নাতক আর স্নাতকোত্তর পর্যায়ে তিন থেকে চার মাসের ইন্টার্নশিপ মোটামুটি বাধ্যতামূলক। আপনাকে করতেই হবে। ইন্টার্নশিপের সবচেয়ে বড় দিক হলো, এটা চাকরি জীবনের দৈনন্দিন কাজের হাতে-কলমে ব্যবহারিক প্রয়োগ শেখাবে। অথবা একটা অফিসের প্রতিদিনের কাজের ধরন, মিটিং, কীভাবে প্রায়োরিটি সেট করতে হবে বা নিপুণ হাতে যোগাযোগ করতে হবে তার একটা প্রাথমিক ধারণা দিয়ে দেওয়াই এর উদ্দেশ্য। যাতে ভবিষ্যতে চাকরি পেতে বা চাকরি করতে গিয়ে প্রাথমিক ধাক্কার শিকার না হন। আর এই ইন্টার্নশিপ অনেক বড় একটা ভূমিকা রাখে আপনার
ক্যারিয়ারে। আমার নিজের অভিজ্ঞতাই তুলে ধরব আজ।জার্মানিতে ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করতে এসেছিলাম ২০১২ সালে। আমার প্রোগ্রামের একটা সেমিস্টারের অর্ধেকটা জুড়ে রয়েছে ইন্টার্নশিপ। আর এই ইন্টার্নশিপ জোগাড় করা কিছুটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আর কিছুটা নিজের যোগ্যতার ওপর নির্ভর করে। আমরা প্রায় ২০টা দেশের ২৭ জন শিক্ষার্থী একসঙ্গে এই প্রোগ্রামে ছিলাম। দেখা গেল ২৭ জনের মধ্যে ২২ জনেরই ইন্টারভিউ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারিশকৃত চিঠিতেই ইন্টার্নশিপ হয়ে গেল। আমাদের পাঁচজনের কোনো খবর নেই। স্বপ্ন দেখতাম একটা বড় কোনো সংস্থায় ইন্টার্নশিপ করব। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো পাঁচটা সংস্থার একটাও আমার সিভির জবাব দেয়নি। অবশেষে একটা ইন্টারভিউয়ের অফার আসল। জার্মান বিএএসএফ কেমিক্যাল কোম্পানি থেকে। ইমেইলে লিখল ইন্টারভিউর হবে দুই ধাপে। ইন্টারভিউয়ের প্রথম ১৫ মিনিট হবে ইংরেজিতে আর তার পরের ১৫ মিনিট জার্মান ভাষায়। একে তো টেলিফোন ইন্টারভিউ, দ্বিতীয়ত জার্মান।
আমার কোর্স কো–অর্ডিনেটর লিখলেন, তুমি পারবে। তিনি জার্মান ভাষার দু–চার লাইন টিপস লিখে পাঠালেন। কিন্তু ইন্টারভিউয়ের সময় প্রথম ১৫ মিনিট ভালোভাবে গেলেও পরের ১৫ মিনিট পাঁচ মিনিটেই শেষ হয়ে গেল। কারণ আমার জার্মান ভাষার দৌড় গুটেন মরগেন, ভহের কমেন জি, ভো ভোনেন জি–তেই (শুভ সকাল, কোথা থেকে আসছ, আর কোন শহরে থাক) সীমাবদ্ধ! আমাদের প্রোগ্রামটা ছিল ইংরেজিতে আর ব্লক সিস্টেম—মানে একসঙ্গে দু–তিনটা কোর্স চলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। টানা ক্লাসের মাধ্যমে কোর্স শেষ হয়ে পরীক্ষা হয়ে যায়। ফলে এই ব্যাচের আমরা কেউ জার্মান ভাষা শেখার সময় ও সুযোগ করে উঠতে পারিনি। ইন্টারভিউয়ের পর তারা সরাসরি ইমেইলে জানাল, জার্মান ভাষা ছাড়া আমার ইন্টার্নশিপ করা কঠিন হবে। তাই তারা আমাকে নিতে পারছে না। নিজের মাঝে প্রচণ্ড হতাশা কাজ করছিল। এই তিন মাস আমি কী করব আর সবাই কত কী শিখছে আর করছে, কেবল আমরা কয়েকজন ছাড়া। পরের সপ্তাহে আবার আরেকটা টেলিফোন ইন্টারভিউ। কিন্তু একই সমস্যা। সকাল–বিকেল কোর্স কো-অর্ডিনেটর আমার আবেগভরা মেইল পেয়ে অস্থির। বলে আরেকটু ধৈর্য ধর, আমরা চেষ্টা করছি তোমাদের পাঁচজনের জন্য।
হঠাৎ মনে হলো তাঁদের ভরসায় না থেকে নিজে চেষ্টা করি। দেশে থাকতে একটা বিদেশি এনজিওতে করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি নিয়ে কাজ করতাম। জার্মান ফ্যাশন ব্র্যান্ড এস অলিভারের বাংলাদেশ অফিসের প্রধান রাহুলের কথা মনে পড়ল। ভারতীয় এই ভদ্রলোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে একটু আলাপ–পরিচয় হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পের দাতা সংস্থার প্রতিনিধি হওয়ায় সম্পর্কটা ভীষণ ফরমাল ছিল। বিজনেস কোম্পানি আর এনজিওর মধ্যে বরাবরই এক রকম চির ধরা ঠেস দেওয়া সম্পর্ক থাকে। আর রাহুলের সঙ্গেও এর ব্যত্যয় ছিল না। তবে ভদ্রলোক অসাধারণ ভালো। রাহুলকে একবার ওদের এখানকার অফিসের কথা বলে দেখব কিনা? অনেক ভেবে ভেবে মাঝ রাতেই রাহুলকে এমটা ইমেইল করে ফেললাম।
দুই দিন পর মেইলবক্সে রাহুলের জবাব ভেসে উঠল—আই হ্যাভ ফরওয়ার্ডেড ইউর ইমেইল অ্যান্ড সিভি টু আওয়ার হেড অফিস। দে টোল্ড ইট ইজ টু শর্ট নোটিশ টু গেট আ ইন্টার্নশিপ বাই ওয়ান উইক। বাট দে উইল ক্রস চেক অ্যান্ড উইল হ্যাভ ইন্টারভিউ উইথ ইউ ইফ দে হ্যাভ আ ভ্যাকান্ট পজিশন ফর ইন্টার্নশিপ। আই হোপ ফর দ্য বেস্ট ফর ইউ।
লাইফে বেস্টের গুষ্টি কিলাতে কিলাতে আমি অপেক্ষায় থাকি কিন্তু কোনো জবাব মেলে না। এরই মাঝে পাঁচ দিন চলে গেল কোনো খবর নেই। প্রচণ্ড হতাশায় ডুবতে ডুবতে যখন এস অলিভারের কথা ভুলতে বসেছি তখনই ইমেইল আসল একটা ইন্টারভিউয়ের। ফোনে তারা বেশি কিছু জিজ্ঞেস করেনি। পাঁচ মিনিট পর কথা ছিল তুমি কবে নাগাদ জয়েন করতে পারবে? আমার মুখ দিয়ে যেন স্বয়ং ঈশ্বর এসে বলে দিয়ে গেলেন, নেক্সট উইক। ওপাশ থেকে জবাব এল, তুমি এ শহরে এত দ্রুত থাকার ব্যবস্থা করতে পারবে? বাসা পাওয়া ভীষণ ক্রাইসিস, দেখি আমাদের এইচআর ডিপার্টমেন্টকে বলে। আমি দ্রুত কোর্স কো-অর্ডিনেটরকে জানালাম যেন স্টুডেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট দিয়ে একটা সাবরেন্টে বাসা খুঁজে দেয়। বাসা পাওয়া গেল খুব দ্রুতই। এক সপ্তাহ পর বিশাল দুটা স্যুটকেস নিয়ে ভুর্জবুর্গ শহরে হাজির হলাম আমি। আমার সহপাঠীরা ফেব্রুয়ারির প্রথমে তাদের ইন্টার্নশিপ শুরু করলেও আমি শুরু করলাম মধ্য মার্চের কোনো এক ভীষণ তুষার ঝরা দিনে।
ইন্টার্নশিপ পড়ল সাসটেইনেবিলিটি ডিপার্টমেন্টে। এস অলিভার জার্মান ফ্যাশান ব্র্যান্ড। আমি এসেছি এনজিও ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে। তাই কাজের ক্ষেত্র নির্ধারণে বেশ জটিলতা। তবে কমপ্লায়েন্স সম্পর্কে অল্পবিস্তর ধারণা থাকায় আর দেশে বেশ কিছু গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ভিজিট করার অভিজ্ঞতা থাকায় কিছুটা রক্ষা। প্রথম দিকেই আমাকে দেওয়া হলো ডেটাবেজের কাজ। দুই মাসের কিছু টার্গেট আমি বিশ দিনেই শেষ করে ফেললাম। আমার দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনি বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে আমার মিটিং করিয়ে আস্তে আস্তে সাসটেইনেবিলিটি ডিপার্টমেন্টের কাজ বোঝাতে লাগলেন। বিভিন্ন ভিডিও কনফারেন্সে আমাদের সোর্সিং মার্কেটগুলোর সঙ্গে আলাপ করিয়ে কাজের ধারণা দিতে লাগলেন। সব মিটিংয়েই আমাকে অংশগ্রহণ করাতে লাগলেন। আমিও যেচে সবার পেন্ডিং কাজ চেয়ে নিতে লাগলাম যাতে আমি তাদের হেল্প করতে পারি। সবার ভাগে পড়া ডেটাবেজের কাজ আমি একাই করে দিলাম বলতে গেলে। সঙ্গে রেগুলার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির অডিটের রিপোর্টগুলো পড়া আর কমপ্লায়েন্স ডিটেইলস জানা। সব কলিগ বলতে গেলে খুব খুশি। আমাদের গ্লোবাল হেডের সঙ্গে দু–একবার দেখা হয় সপ্তাহে। একদিন লাঞ্চের টেবিলে বললাম, আমি এস অলিভারে আমার মাস্টার্স থিসিস করতে আগ্রহী। তিনি বললেন, থিসিসের কনসেপ্ট লেটার লিখে আমার অ্যাসিস্ট্যান্টের কাছ থেকে ইন্টারভিউ শিডিউল নিয়ে রাখ। তিনি এত ব্যস্ত যে তার কাছ থেকে একটা শিডিউল পাওয়া আমার জন্য দুষ্কর হয়ে পড়ল। খুঁজে পেতে বের করলাম ইন্টার্নশিপ হওয়ার আগের সপ্তাহে। এক ঘণ্টার ইন্টারভিউয়ে তিনি থিসিসের ব্যাপারে এগ্রি করলেন। আরও কিছুক্ষণ ইন্টারভিউ নিলেন জব এক্সপেরিয়েন্স, ক্যারিয়ার ইত্যাদির ওপর। তারপর তিনি আমাকে বাংলাদেশে একটা জবও অফার করলেন মাস্টার্সের পর। কিন্তু আমি সঙ্গে সঙ্গেই সেই অফারটা বিনয়ের সঙ্গেই ফিরিয়ে দিলাম। জানালাম, আমি এখনই দেশে কাজ করার কথা ভাবছি না বরং এখানে থেকে দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো কাজের কথাই ভাবছি। আরও বললাম আমি আসলে এস অলিভারে ক্যারিয়ার শুরু করার কথা ভাবিনি। আমি ভেবেছি যে কোনো জার্মান কোম্পানিতে জার্মানিতেই কাজ করার কথা যার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক থাকবে। আর জার্মানিতে সেটা এস অলিভার হেড অফিসে হলে সেটা হবে আমার জন্য একটা বিশাল অপরচুনিটি। তিনি কিছুক্ষণ অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে রইলেন। অনেক ক্ষমতাধর এই ভদ্রমহিলার মুখের ওপর কেউ জব অফার অল্পক্ষণেই ফিরিয়ে দেবে তা তিনি চিন্তা করেননি। তার মুখে এক ধরনের চিন্তার রেখা খেলা করতে দেখলাম। তিনি বললেন আমাকে ভাবতে দাও।
পরের সপ্তাহে আমি ইন্টার্নশিপ শেষ করে চলে আসলাম। সবার বিদায়ী উপহার আমাকে সিক্ত করেছিল। আমি থিসিসের কাজে বাংলাদেশ তিন মাসের জন্য চলে আসলাম ২০১৩ সালের আগস্টে। ইন্টারভিউ, ট্রান্সক্রিপ্ট ইত্যাদিতে জার্মানির অনেক কিছুই মন থেকে সরে যাচ্ছিল। হঠাৎই ইমেইল এল জে এস অলিভার এইচআর আমার সেকেন্ড রাউন্ড ইন্টারভিউ নিতে চাচ্ছে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। আমার ইন্টার্নশিপের চার মাস পর। তারিখটা এখনো মনে আছে ২২ অক্টোবর, ভেন্যু এস অলিভার বাংলাদেশ, ঢাকা অফিস। ইন্টারভিউ হলো এক ঘণ্টার। বোর্ডে ছিলেন দুজন। এইচআরের সেকেন্ড হেড আর সাসটেইনেবিলিটির গ্লোবাল হেড। মনে আছে ইন্টারভিউতে একটা প্রশ্ন ছিল এই জবে আমি কেন আগ্রহী আর কোম্পানির কি বেনিফিট হবে আমার রিক্রুটমেন্টে? বললাম, কারণ আমার মাঝে দুটি অভিজ্ঞতার কম্বিনেশন কাজ করছে; এক, তুমি তোমাদের সোর্সিং কান্ট্রি থেকে একজনকে পাবে যে সরাসরি বাংলাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে অন্যদিকে আমার জার্মানিতে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা আর কালচার জানা আছে। আর তার চেয়ে বড় আমি চার মাস তোমাদের অফিসে কাজ করেছি যা আমকে সাসটেইন্যাবিলিটি ডিপার্টমেন্টের কাজের অভিজ্ঞতা দিয়েছে। উত্তরটা বোধহয় আমার চাকরি পাওয়াটা অনেক বেশি নিশ্চিত করেছিল। বড় জটিলতা ছিল আমার জার্মান ভাষা। বললাম আমি জার্মান বলতে পারি না কিন্তু শিখতে আগ্রহী। গ্লোবাল হেড বললেন, এস অলিভারের ইতিহাসে হেড অফিসে তুমি প্রথম ইন্টারন্যাশনাল এমপ্লয়ি হবে। এখানে সবাই জার্মান ভাষায় কথা বলে। ভাষাটা আমাদের দুই পক্ষের জন্যই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। আমার মাস্টার্স শেষ হতে তখন ছয় মাস বাকি। বললাম তোমরা আমার জন্য এই ছয় মাস অপেক্ষা করবে? তারা বললেন, অবশ্যই অপেক্ষা করব কারণ তোমার ইন্টার্নশিপ পিরিয়ডে তোমার কাজের প্রতি ভালোবাসা, একাগ্রতা আর সাহস আমাদের মুগ্ধ করেছে। কবে জয়েন করতে চাও তুমি? আমার মাস্টার্সের শেষ হওয়ার তারিখ ছিল ১৪ মার্চ। আমি ১ এপ্রিল পর্যন্ত সময় চেয়ে নিলাম তাদের কাছে। ইন্টারভিউ শেষে ভিডিও কনফারেন্স রুম থেকে বের হয়ে কেমন যেন লাগছিল। নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল। জার্মানিতে ননটেকনিক্যাল সাবজেক্টে পড়ে, কোনো রকম ভাষা ছাড়া একটা ভালো জব পাওয়া, তাও মাস্টার্স পাস করার ছয় মাস আগেই সেটা পাওয়া আর সোনার হরিণ পাওয়া একই ব্যাপার।
আজ দুই বছর তিন মাস হলো, আমি এস অলিভার হেড অফিসে কাজ করছি। এরা আমাকে অনেক কিছুই শিখিয়েছে আর সহকর্মীরা দিয়েছে ভালোবাসা ও সহযোগিতা। এই শহরে আমি দ্বিতীয় বাঙালি। সহকর্মীরা সহযোগিতা না করলে এখানে থাকা সম্ভব হতো না। এখন অল্পবিস্তর জার্মান জানি, কোম্পানি প্রাইভেট ল্যাঙ্গুয়েজ টিচার দিয়েছে। এই দুই বছরে আমি এখন দুটি মার্কেটের সাসটেইন্যাবিলিটি কাজের দায়িত্বে আছি—বাংলাদেশ আর তুরস্ক। কোনো রকম ভাষা জানা ছাড়া সব জার্মান সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করার অনেক চ্যালেঞ্জ। আছে প্রতিযোগিতা আর তার সঙ্গে আছে একজন ভীষণ স্ট্রং বসের আন্ডারে প্রতিনিয়ত কাজ করা। বস মাঝে মাঝেই বলেন, রাহিমা তুমি কি জানো তুমি অনেক সাহসী আর অনেক বেশি অ্যাম্বিসাস? আমি বলি আমি হাই আম্বিসাস না তবে আমি স্বপ্নবাজ মানুষ। স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি আর একেকটা স্বপ্ন আমাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়…আর সাহসী? সে তো বটেই, তা না হলে ১৭ বছরে ইন্টারমিডিয়েট পড়া অবস্থায় বিয়ে হয়ে যাওয়া এই আমি ঘর সংসার নিয়েই কেমনে এতটা পথ পারি দিলাম? জীবন তোমাকে ততটাই দেবে যতটা তুমি চাইবে আর চেষ্টা করবে।
একটা ইন্টার্নশিপ ক্যারিয়ারে কতটা ভূমিকা রাখে তা আমি ছাড়া আর কে জানে! দেশে এখন কেবল বিবিএ–এমবিএর শিক্ষার্থীরাই ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পায় আর সুফলও পায়। কবে আমাদের দেশেও উচ্চতর শিক্ষার প্রতিটা বিষয়েই এমনি ইন্টার্নশিপ লেখাপড়ার আবশ্যিক অংশ হিসেবে থাকবে তা কে জানে।
@ রাহিমা আক্তার, ভুর্জবুর্গ (জার্মানি) থেকে
© prothomalo
© prothomalo
No comments:
Post a Comment