জামের পুষ্টিগুন ও উপকারীতার কথা কম বেশি আমরা সবাই জানি। তবে জানি না জামের ব্যতিক্রম কিছু গুনাবলীর কথা। আমাদের কাছে অজানা হলেও জামের এসব ব্যবহার আদিকাল থেকেই প্রচলিত। এখন তা আরও বিকশিত।
জামকে ইংরেজিতে বলা হয় Jambul, Malabar plum। জামের প্রধান ব্যবহার খাদ্য হিসেবে। টক মিষ্টি সুস্বাদু এই ফলটি বেশ জনপ্রিয় হিসেবে সবার কাছেই সুপরিচিত। ডাক্তারী, কবিরাজী বা হেকিমী চিকিৎসায়ও এর ব্যবহার করা হয়; বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ, ভারতবর্ষ, ইন্দোনেশিয়া এবং চীন -এ জামের
ব্যবহার হয়ে আসছে।জামের বীজ দিয়ে নানান রোগের আয়ুর্বেদী চিকিৎসা করা হয়; যেমন: বহুমুত্র। ইউনানী এবং চৈনিক চিকিৎসাতেও জামের ব্যবহার আছে।
হজমের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, মাড়ির প্রদাহ ইত্যাদি রোগে জামের বীজ, ছাল ও পাতা ব্যবহৃত হয়।
জাম থেকে নিষিদ্ধ মদ ও সিরকা তৈরি করা যায়।
জামে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি আছে।
জাম পাতার পুষ্টি উপাদানঃ
জাম পাতার পুষ্টি উপাদান নিচে দেয়া হলো। জাম পাতায়ঃ
আমিষ = 9.1, স্নেহ = 4.3, আঁশ = 17.0, ছাই = 7, ক্যালসিয়াম = 1.3, ফসফরাস = 0.19
আমিষ = 9.1, স্নেহ = 4.3, আঁশ = 17.0, ছাই = 7, ক্যালসিয়াম = 1.3, ফসফরাস = 0.19
জামের পুষ্টিমান ও রাসায়নিক উপাদানঃ
প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স) জামের পুষ্টিগত মান হচ্ছে:
শক্তি = ২৫১ কিজু (৬০ kcal),
শর্করা = 15.56 g,
স্নেহ পদার্থ = 0.23 g,
প্রোটিন = 0.72 g.
শক্তি = ২৫১ কিজু (৬০ kcal),
শর্করা = 15.56 g,
স্নেহ পদার্থ = 0.23 g,
প্রোটিন = 0.72 g.
জামের ভিটামিনসমূহঃ
ভিটামিন এ = 3 IU, থায়ামিন (বি ) = 0.006 mg, রিবোফ্লাভিন (বি ) = 0.012 mg, ন্যায়েসেন (বি ) = 0.260 mg, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি ) = 0.160 mg, ভিটামিন বি = 0.038 mg, ভিটামিন সি = 14.3 mg,
জামের চিহ্ন ধাতু সমুহঃ
ক্যালসিয়াম = 19 mg, লোহা = 0.19 mg, ম্যাগনেসিয়াম = 15 mg, ফসফরাস = 17 mg, পটাশিয়াম = 79 mg, সোডিয়াম = 14 mg,
জামের অন্যান্য পুষ্টি উপাদানসমূহঃ
পানি = 83.13 g
পানি = 83.13 g
^
^
কালো জাম, জাম পাতার গুন, জামের স্বাস্থ্য উপকারীতা, জামের গুনাবলী, জামের পুষ্টিগুন, জামের উপকারীতা, জামের বিভিন্ন ব্যবহার
^
কালো জাম, জাম পাতার গুন, জামের স্বাস্থ্য উপকারীতা, জামের গুনাবলী, জামের পুষ্টিগুন, জামের উপকারীতা, জামের বিভিন্ন ব্যবহার
No comments:
Post a Comment