যেকোনো ব্যবসার জন্যই মার্কেটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা ব্যবসার জন্য আবশ্যিকও বটে। মার্কেটিং সম্বন্ধে অনেকেই ভালো বোঝেন, আবার অনেকেই আছে যাদের এ বিষয়ে জ্ঞান নেই বললেই চলে। একটি পন্য বিক্রয় বা বাজারজাত সম্পূর্ণ নির্ভর করে ঐ পণ্যের সঠিক মার্কেটিং ব্যবস্থাপনার উপর।
যে কোন ব্যবসাতেই বিভিন্নভাবে পণ্যের মার্কেটিং করা যায়। চলুন জেনে নেই, ব্যবসায় কিভাবে, কোন পর্যায়ে, কি রকম মার্কেটিং করা প্রয়োজন।
যে কোন ব্যবসাতেই বিভিন্নভাবে পণ্যের মার্কেটিং করা যায়। চলুন জেনে নেই, ব্যবসায় কিভাবে, কোন পর্যায়ে, কি রকম মার্কেটিং করা প্রয়োজন।
০১. ব্যবসা শুরুর পর পণ্য তৈরি ও বাজারজাতের চিন্তাকে বিকশিত করুন। ব্যবসা ছোট পরিসরে হলে, পরিচিত ভালো বন্ধু বান্ধব, নিজ শহরের দোকানদারদের সাথে যোগাযোগ করুন। তাদের কে আপনার পণ্য দেখান। তাদের বলুন পণ্য বিক্রির পর মূল্য পরিশোধ করে দিতে, আর কমিশনতো থাকবেই।
০২. আপনার ব্যবসা বিস্তৃত হলে, যেভাবেই হোক ভিজিটিং কার্ড বানিয়ে ফেলুন। প্রতিটা পণ্যের প্যাকেটে একটা করে তা ঢুকিয়ে দিন। বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটগুলোর সাথে যোগাযোগ করুন। আশপাশের শো-রুম গুলোতে যান। দেখবেন আপনার পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেছে।
০৩. আপনার অনলাইনের ভিত্তি যদি শক্তিশালী হয়ে থাকে তবে তো কথাই নেই। আপনার ব্যবসার ধরণ অনুসারে একটি ওয়েব সাইট নিয়ে নিন। তা সম্ভব না হলে আপনার নিজস্ব সোস্যাল মিডিয়ার আইডি দিয়েই পণ্যের প্রচারণা বৃদ্ধি করুন। এক্ষেত্রে ফেসবুককে তুলনামুলক বেশি গুরুত্ব দিন।
০৪. বিভিন্ন অনলাইন সোস্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগান। আপনার আপনজন, আত্বীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, শুভাকাঙ্খি, পরিচিত ভাই বোনদের ফেসবুক, গুগল, টুইটার আইডিতে আপনার ব্যবসার কথা প্রচারে অনুরোধ জানান। প্রয়োজনে জনপ্রিয় কিছু আইডিতে বিজ্ঞাপন দিন। দেখবেন বিক্রি কিভাবে বেড়ে যায়।
০৫. সৃজনশীল ও মনোযোগী হোন। কারণ এবার একটু ব্যাপকভাবে মার্কেটিংয়ে নামতে হবে। এটা হতে পারে ব্যবসার টার্নিং পয়েন্ট। আপনার এলাকার হকারদের বলে, পত্রিকার ভেতরে লিফলেট দেয়ার চেষ্টা করুন। অন্যদের দিয়েও এটা করতে পারেন। নির্দিষ্ট এলাকাকে টার্গেট করে এটা করুন। এবার আপনার বিক্রি আরও দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে।
০৬. আপনার ব্যবসার সুনাম ও বিক্রি বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই পণ্যের কোয়ালিটি ধরে রাখুন। মানসম্পন্ন ও সময়োপযোগী পণ্য তৈরি করুন। যে কোন ব্যবসায় সফলতার প্রধান শর্ত এটি।
০৭. লিফলেটের পাশাপাশি কিছু স্টিকার বানিয়ে নিন। যা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ভিতর বাইরে লাগানো যায়। বিভিন্ন পাবলিক প্লেস বা জনসমাগম বেশি হয়; এমন জায়গায় স্টিকার লাগিয়ে দিন। দেয়াল লিখনের ব্যবস্থাও করতে পারেন। এভাবে আপনার ব্যবসা ছড়িয়ে দিন সবখানে। বিক্রি আরো বেড়ে যাবে।
০৮. পাবলিক পরিবহন গুলোকে টার্গেট করতে পারেন। এমনকি রিকসা, অটো, সিএনজি ইত্যাদিতে আপনার পণ্যের স্টিকার লাগিয়ে দিন।
০৯. আপনার ব্যবসার মার্কেটিংয়ে মনোযোগী হোন। সৃষ্টিশীল চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগান। প্রতিদিন ব্যবসায়ীক চিন্তা ভাবনার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বের করুন। আজ ও আগামীকালের ভাল মন্দ ও করণীয় ঠিক করুন। আর সেভাবেই এগিয়ে যান।
১০. সব সময় একটি কথা মনে রাখবেন যে, কিভাবে ব্যবসাকে সফল করা যায়। এজন্য সর্বপ্রথম লাজ লজ্জার বালাই মাড়িয়ে, মনের সংকীর্ণতাকে দূরে সরিয়ে আপনার ব্যবসার উন্নতির জন্য সফল মার্কেটিংয়ের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।
পণ্যের প্রচার ও প্রসারে পণ্যের গুনগত মানের পাশাপাশি মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। একমাত্র সফল মার্কেটিংয়ই পারে ব্যবসাকে উন্নতির চরম শিখরে পৌছে দিতে।
সাবধানতাঃ
হুটহাট কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন না। কোন বিষয়ে চিন্তা ভাবনা ও তার ভালো মন্দ বিচার করুন। তারপর সেই কাজটি করুন।
এছাড়াও মার্কেটিং যেহেতু মার্কেটকে ঘিরে; তাই পথে, ঘাটে, বাজারে, মানুষের সাথে, সতর্কতার সাথে; সচেতনভাবে চলতে-ফিরতে এবং কথা বলতে হবে।
হুটহাট কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন না। কোন বিষয়ে চিন্তা ভাবনা ও তার ভালো মন্দ বিচার করুন। তারপর সেই কাজটি করুন।
এছাড়াও মার্কেটিং যেহেতু মার্কেটকে ঘিরে; তাই পথে, ঘাটে, বাজারে, মানুষের সাথে, সতর্কতার সাথে; সচেতনভাবে চলতে-ফিরতে এবং কথা বলতে হবে।
^
^
#মার্কেটিং, #marketing. পন্য বাজারজাত... #ব্যবসা, পণ্যের প্রচারে মার্কেটিং, মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়... সফল মার্কেটিং, পণ্য মার্কেটিং, সফল মার্কেটিংয়ের নিয়ম বা উপায়। #পণ্য, পন্য মার্কেটিং কিভাবে করবো সফল
^
#মার্কেটিং, #marketing. পন্য বাজারজাত... #ব্যবসা, পণ্যের প্রচারে মার্কেটিং, মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়... সফল মার্কেটিং, পণ্য মার্কেটিং, সফল মার্কেটিংয়ের নিয়ম বা উপায়। #পণ্য, পন্য মার্কেটিং কিভাবে করবো সফল
No comments:
Post a Comment