ভালো স্বপ্ন মানুষের কাছে ভালো কোন বার্তা বয়ে আনে। আর খারাপ স্বপ্ন ও বানানো স্বপ্ন মানুষের ক্ষতি করে। কারণ ভালো স্বপ্ন আল্লাহ্ পাকের তরফ থেকে আসে। কিন্তু খারাপ স্বপ্ন শয়তানের ধোঁকায় আসে।
যে স্বপ্ন দু:স্বপ্নে রূপ নেয় না বরং মন খুশি বা প্রশান্তির ছায়াতলে অবগাহন করে এবং যে স্বপ্ন বান্দার কল্যাণ বয়ে আনে তাই হচ্ছে ভালো স্বপ্ন।
যে স্বপ্ন দু:স্বপ্নে রূপ নেয় না বরং মন খুশি বা প্রশান্তির ছায়াতলে অবগাহন করে এবং যে স্বপ্ন বান্দার কল্যাণ বয়ে আনে তাই হচ্ছে ভালো স্বপ্ন।
স্বপ্ন যে কয়েক প্রকার তা আমরা আগেই জেনেছি। কিন্তু জানা হয়নি শুধু ভালো স্বপ্ন কি ? বা ভালো স্বপ্ন কাকে বলে ? বা ভালো স্বপ্ন বলতে কি বোঝায় ?
তাই আজকের পর্বে কোরআন ও হাদীসের আলোকে ভালো স্বপ্নের উদাহরণ নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
তাই আজকের পর্বে কোরআন ও হাদীসের আলোকে ভালো স্বপ্নের উদাহরণ নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
"যখন আল্লাহ তোমাকে স্বপ্নের মধ্যে তাদেরকে স্বল্প সংখ্যায় দেখিয়েছিলেন। আর তোমাকে যদি তিনি তাদেরকে বেশি সংখ্যায় দেখাতেন, তাহলে অবশ্যই তোমরা সাহসহীন হয়ে পড়তে এবং বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করতে। কিন্তু আল্লাহ নিরাপত্তা দিয়েছেন। নিশ্চয় অন্তরে যা আছে তিনি সে সব বিষয়ে অবগত। (আনফাল : ৪৩)
"যখন আল্লাহ তোমাকে স্বপ্নের মধ্যে তাদেরকে স্বল্প সংখ্যায় দেখিয়েছিলেন। আর তোমাকে যদি তিনি তাদেরকে বেশি সংখ্যায় দেখাতেন, তাহলে অবশ্যই তোমরা সাহসহীন হয়ে পড়তে এবং বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করতে। কিন্তু আল্লাহ নিরাপত্তা দিয়েছেন। নিশ্চয় অন্তরে যা আছে তিনি সে সব বিষয়ে অবগত। (আনফাল : ৪৩)
বদর যুদ্ধের প্রাক্কালে
আল্লাহ তাআলা তার রাসূলকে বিজয় লাভের সুন্দর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তাকে শত্রু বাহিনীর সংখ্যা অনেক কম করে দেখিয়েছেন। বেশি করে দেখালে তিনি হয়ত ভয় পেয়ে যেতেন।তাই এটি একটি ভাল স্বপ্ন।
এভাবে আল্লাহ তাআলা স্বপ্নের মাধ্যমে তার নবী ও রাসূলদের কাছে ওহী প্রেরণ করতেন।
আল্লাহ তাআলা আরও বলেনঃ
"অবশ্যই আল্লাহ তাঁর রাসূলকে স্বপ্নটি যথাযথভাবে সত্যে পরিণত করে দিয়েছেন। তোমরা ইনশাআল্লাহ নিরাপদে তোমাদের মাথা মুণ্ডন করে এবং চুল ছেঁটে নির্ভয়ে মসজিদুল হারামে অবশ্যই প্রবেশ করবে। অতঃপর আল্লাহ জেনেছেন যা তোমরা জানতে না। সুতরাং এ ছাড়াও তিনি দিলেন এক নিকটবর্তী বিজয়।" (ফাতাহ : ২৭)
উপরের আয়াত থেকে আমরা জানতে পারলাম, আল্লাহ তাঁর রাসূলকে মক্কা জয় করার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। আর সে স্বপ্ন আল্লাহ তাআলাই বাস্তবায়ন করেছিলেন।
এমনিভাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আল-কোরআনে মিশরের বাদশার স্বপ্ন বর্ণনা করেছেন। সে স্বপ্নের সুন্দর ব্যাখ্যা করেছিলেন, নবী ইউসুফ (আঃ)। বিষয়টি আল কোরআনের সূরা ইউসুফের ৪৩ নং আয়াত থেকে ৫৫ নং আয়াত পর্যন্ত বর্ণিত হয়েছে এবং সেখানে সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যাও দেয়া হয়েছে।
এর আগে সূরার ৩৬ নং আয়াত থেকে ৪২ নং আয়াত পর্যন্ত ইউসুফ (আঃ) এঁর জেল জীবনের দুজন সাথীর স্বপ্ন ও ইউসুফ আলাইহিস সালাম কর্তৃক তার ব্যাখ্যা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
"অবশ্যই আল্লাহ তাঁর রাসূলকে স্বপ্নটি যথাযথভাবে সত্যে পরিণত করে দিয়েছেন। তোমরা ইনশাআল্লাহ নিরাপদে তোমাদের মাথা মুণ্ডন করে এবং চুল ছেঁটে নির্ভয়ে মসজিদুল হারামে অবশ্যই প্রবেশ করবে। অতঃপর আল্লাহ জেনেছেন যা তোমরা জানতে না। সুতরাং এ ছাড়াও তিনি দিলেন এক নিকটবর্তী বিজয়।" (ফাতাহ : ২৭)
উপরের আয়াত থেকে আমরা জানতে পারলাম, আল্লাহ তাঁর রাসূলকে মক্কা জয় করার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। আর সে স্বপ্ন আল্লাহ তাআলাই বাস্তবায়ন করেছিলেন।
এমনিভাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আল-কোরআনে মিশরের বাদশার স্বপ্ন বর্ণনা করেছেন। সে স্বপ্নের সুন্দর ব্যাখ্যা করেছিলেন, নবী ইউসুফ (আঃ)। বিষয়টি আল কোরআনের সূরা ইউসুফের ৪৩ নং আয়াত থেকে ৫৫ নং আয়াত পর্যন্ত বর্ণিত হয়েছে এবং সেখানে সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যাও দেয়া হয়েছে।
এর আগে সূরার ৩৬ নং আয়াত থেকে ৪২ নং আয়াত পর্যন্ত ইউসুফ (আঃ) এঁর জেল জীবনের দুজন সাথীর স্বপ্ন ও ইউসুফ আলাইহিস সালাম কর্তৃক তার ব্যাখ্যা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
স্বপ্নের ব্যাখ্যা করা যে জ্ঞান-বিজ্ঞানের একটি বিষয় তা আল-কোরআনে নবী ইউসুফ (অাঃ)র ভাষায় বলা হয়েছে এভাবে:
হে আমার রব, আপনি আমাকে রাজত্ব দান করেছেন এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিখিয়েছেন। হে আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা! দুনিয়া ও আখিরাতে আপনিই আমার অভিভাবক, আমাকে মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু দিন এবং নেককারদের সাথে আমাকে যুক্ত করুন। (ইউসুফ : ১০১)
হে আমার রব, আপনি আমাকে রাজত্ব দান করেছেন এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিখিয়েছেন। হে আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা! দুনিয়া ও আখিরাতে আপনিই আমার অভিভাবক, আমাকে মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু দিন এবং নেককারদের সাথে আমাকে যুক্ত করুন। (ইউসুফ : ১০১)
এমনিভাবে সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ ইবনে আব্দে রাব্বিহী ও ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুমা স্বপ্নে আজান দেখেছিলেন। আর তাদের স্বপ্নে দেখা আজান-কেই নামাজের বর্তমান আজান ও ইকামত হিসাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি।
তাদের সুন্দর স্বপ্নগুলো এভাবেই ইসলামের রাখতে নিদর্শন হিসাবে বাস্তবে রূপ লাভ করেছে অনন্তকালের জন্য। রাখতে
আমাদের আর হবে যে, ভালো ও সুন্দর স্বপ্নগুলো কখনো হুবহু বাস্তব রূপে দেখা যায় আবার কখনো রূপকভাবে ভিন্ন আকৃতিতে ।
যেমন আজান দেয়ার পদ্ধতি সংক্রান্ত স্বপ্ন হুবহু দেখানো হয়েছে। অপরদিকে ইউসুফ (আঃ)র স্বপ্নগুলো ভিন্ন আকৃতিতে রূপকভাবে দেখানো হয়েছে।
তাদের সুন্দর স্বপ্নগুলো এভাবেই ইসলামের রাখতে নিদর্শন হিসাবে বাস্তবে রূপ লাভ করেছে অনন্তকালের জন্য। রাখতে
আমাদের আর হবে যে, ভালো ও সুন্দর স্বপ্নগুলো কখনো হুবহু বাস্তব রূপে দেখা যায় আবার কখনো রূপকভাবে ভিন্ন আকৃতিতে ।
যেমন আজান দেয়ার পদ্ধতি সংক্রান্ত স্বপ্ন হুবহু দেখানো হয়েছে। অপরদিকে ইউসুফ (আঃ)র স্বপ্নগুলো ভিন্ন আকৃতিতে রূপকভাবে দেখানো হয়েছে।
স্বপ্ন নিয়ে আরও পোস্ট:
স্বপ্ন নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ ১ম পর্ব
No comments:
Post a Comment