পাবনার চাটমোহর উপজেলার মোস্তালিপুর গ্রামের দারিদ্র, অসহায় ও অভাব পীড়িত নারীরা গৃহস্থালি কাজের পাশাপাশি তাদেরই গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ছোট একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করে বাড়তি কিছু আয় করছে। এইসব দারিদ্র ,অভাব ও অসহায় পীড়িত নারীদের জীবন যিনি বদলে দিয়েছেন তিনি আরজিনা আক্তার খুশি।
তার স্বামী গাজীপুরের একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করত। ঐ ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হয় পরচুলা (WIG)। আলগা ও কাটা চুল সংগ্রহের মাধ্যমে তা ফ্যাক্টরিতে প্রসেসিং করে পরচুলা তৈরি করা হয়।
একদিন আরজিনা আক্তার তার স্বামীর কর্মস্থল গাজীপুরের ফ্যাক্টরিতে আসেন। সেখানে লক্ষ্য করেন যে, অনেক দক্ষ মহিলারা কাজ করছেন। এরপর তিনিও স্বামীর কাছ থেকে শিখে নেন পরচুলা তৈরির কলাকৌশল।
তারপর গ্রামে ফিরে গিয়ে ৮জন নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিজেরা কাজ শুরু করেন। শুরুতে গ্রামের অনেক লোকেরা তার এই কাজের সমালোচনা করেন। এবং অনেকেই তার সাফল্য নিয়ে সন্দিহান ছিলো। কিন্তু সকল সমালোচনা উপেক্ষা করে, তিনি একাগ্রতা ও অধ্যবসায় নিয়ে কাজ করে যান। গড়ে তোলেন একটি ফ্যাক্টরি।
তার ফ্যাক্টরিতে এখন ৪০ জন নারী কর্মরত। এইসব নারীদের পরিবার এখন কিছুটা হলেও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী। কেননা স্বামীর পাশাপাশি তারাও এখন অর্থ উপার্জন করছে। আরজিনা আক্তার বলেন যে, এইসব নারীদের জীবন বদলে যাওয়ার মাধ্যমে তার নিজের জীবনও এখন বদলে গিয়েছে।
© the-daily-star
No comments:
Post a Comment