আগামী অর্থবছরের (২০১৬-১৭) জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বেশ কিছু পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা শুল্কহার কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এর ফলে এসব পণ্যের দাম কমে যাবে।
দাম কমার তালিকায় উল্লেখযোগ্য হলো- দেশী মোটরসাইকেল তৈরির যন্ত্রাংশ, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রাংশ, স্ট্যাবিলাইজার, এলপিজি সিলিন্ডার, ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল, ভিডিও কনফারেন্স ডিভাইস, স্মার্ট কার্ডের যন্ত্রাংশ, সাইবার সিকিউরিটির যন্ত্রাংশ, বায়োগ্যাস ডাইজেস্টার, ফায়ার বোর্ড, কফি মেট, পেট্রোলিয়াম জেলি ও এলইডি ল্যাম্পের যন্ত্রাংশসহ প্রভৃতি পণ্যের দাম
কমছে।
বস্ত্রখাত : অর্থমন্ত্রী তার প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, বস্ত্রখাতটি একটি বড় ও শক্তিশালী পশ্চাৎমুখী খাত হিসেবে গড়ে উঠেছে। এ খাতের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এবং এটিকে আরো এগিয়ে নিতে স্ট্রিপিং কেমিক্যালের শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন। একই সাথে ফ্লাক্স ফাইবার এবং স্পানডেক্স নামক কাঁচামালের শুল্ক ১০ শতাংশ হতে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন। ফলে এ খাতের ব্যয় কমবে।
রাসায়নিক পণ্য : আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে পেট্রোলিয়াম জাতীয় বেশ কয়েকটি পণ্যের শুল্ক কমানো হয়েছে। এর মধ্যে পেট্রোলিয়াম জেলির আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, প্যারাফিন ওয়াক্সের শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। শুল্ক কমানোর ফলে এসব পণ্যের দাম কমবে।
মোটরসাইকেল : দেশীয় তৈরি মোটরসাইকেল খাতকে এগিয়ে নিতে এর বিভিন্ন যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে শর্ত সাপেক্ষে এ সুযোগ দুই বছরের জন্য দেয়া হয়েছে। ফলে মোটরসাইকেলের দাম কমতে পারে।
বৈদ্যুতিক পণ্য : প্রস্তাবিত বাজেটে বৈদ্যুতিক শিল্পের বেশ কয়েকটি পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। এর মধ্যে ইউরিয়া রেজিনের শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, ডিওপির শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ, ফাইবার গ্লাসের শুল্ক ৩০ শতাংশ কমিয়ে শুল্কমুক্ত করা এবং কম্প্রেসারের যন্ত্রাংশ ও উপকরণের ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
এ ছাড়া এলইডি ল্যাম্পের যন্ত্রাংশ আমদানির ওপর থেকে সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে শূন্য করা হয়েছে। আগে এ ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ছিল। পোলট্রি ও গবাদি পশুর খাদ্য তৈরির প্রতিষ্ঠানের খাদ্য উপকরণের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনের উপকরণ স্ট্যাবিলাইজার ফর মিল্কের সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দুগ্ধজাত পণ্যের দাম কমবে। এলপিজি সিলিন্ডারের শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ করার প্রস্তাব করায় দাম কমবে। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রাংশ, সাইবার সিকিউরিটির যন্ত্রাংশ, বায়োগ্যাস ডাইজেস্টারসহ প্রভৃতি পণ্যের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমবে।
No comments:
Post a Comment