গেলো বছর ফোর্বস ম্যাগাজিনের সেরার তালিকায় স্থান পেয়েছিলো মার্কিন স্বাস্থ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান থেরানোস ইনকরপোরেশন। এটি ছিলো সাড়ে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার মালিকানার একটি প্রতিষ্ঠান। ওই সময় এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এলিজাবেথ হোমস প্রথমবার সেরা ধনী নারীর তালিকায় স্থান পান। কিন্তু বছর না ঘুরতেই দেউলিয়া হয়ে গেলেন এলিজাবেথ হোমস। কীভাবে এক বছরের মধ্যেই এসব ঘটল, তা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
এলিজাবেথ তার প্রতিষ্ঠানের সেবার বিনিময়ে জনপ্রিয়তা ও শীর্ষ ধনীর খেতাব অর্জন করেছিলেন। কিন্তু সেটি তিনি ধরে রাখতে পারেননি।
জনপ্রিয়তায় অন্ধ হয়ে গ্রাহক সেবা নিম্নতর হতে থাকে। গ্রাহকদের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অভিযোগ ওঠে থেরানোসের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতে একটি মামলাও করা হয়। এরপরই শেয়ারের দাম গিয়ে ঠেকে শূন্যের কোঠায়।
৩২ বছর বয়সী এলিজাবেথ ২০০৩ সংস্থাটি গড়ে তোলেন। থেরানোসের মূল কাজ হলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে সঠিক এবং আধুনিক পদ্ধতিতে রক্তের যাবতীয় পরীক্ষা করা। কিন্তু সম্প্রতি রক্ত পরীক্ষার পদ্ধতিতে চারদিক থেকে ত্রুটির অভিযোগ ওঠে। থেরানোসের সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, অ্যারিজোনা ও পেনসিলভানিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগ, দেশটির সেন্টার ফর মেডিকেয়ার অ্যান্ড মেডিকেয়ার, ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। রক্ত পরীক্ষায় ত্রুটির অভিযোগের পরই গত সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপরই দ্রুত পড়তে শুরু করে থেরানোসের শেয়ারের দাম। পড়তে পড়তে সাড়ে ৪০০ কোটি ডলারের প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের মূল্য একপর্যায়ে শূন্যতে গিয়ে ঠেকে। এ কারণে সেরা ধনীর তালিকায় স্থান পাওয়া এলিজাবেথ হোমস এক বছরের মধ্যে দেউলিয়া হয়ে যান।
#রয়টার্স
No comments:
Post a Comment