৩৪ কোম্পানির ওষুধ বাজারজা‌ত ব‌ন্ধের নির্দেশ

মানসম্মত ওষুধ উৎপাদনে ব্যর্থ ২০ ওষুধ কোম্পানির সব ধর‌নের ওষুধ ও ১৪ কোম্পানির এন্টিবায়েটিক ওষুধ সরবরাহ ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এসব কোম্পানির যেসব ওষুধ এখনও বাজারে আছে, তা অতিদ্রুত প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

গত ৫ মে মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন দায়ের করেন আইনজীবী মনজিল মোরশেদ।

গত ৭ জুন ২০ ওষুধ কোম্পানির সকল ধরণের উৎপাদন বন্ধে নির্দেশ

দেন হাইকোর্ট। ১৫ জুন হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

ব‌ন্ধের আওতাভুক্ত ২০টি কোম্পানি হলোঃ-
ন্যাশনাল ড্রাগ, এক্সিম ফার্মাসিউটিক্যাল, গ্লোব ল্যাবরেটরিজ, ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড, জলপা ল্যাবরেটরিজ, কাফমা ফার্মাসিউটিক্যাল, মেডিকো ফার্মাসিউটিক্যাল, নর্থ বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যাল, এভার্ট ফার্মা, বিকল্প ফার্মাসিউটিক্যাল, ডলফিন ফার্মাসিউটিক্যাল, ড্রাগল্যান্ড, রিমো কেমিক্যাল, রিদ ফার্মাসিউটিক্যাল, স্কাইল্যাব ফার্মাসিউটিক্যাল, স্পার্ক ফার্মাসিউটিক্যাল, স্টার ফার্মাসিউটিক্যাল, সুনিপুণ ফার্মাসিউটিক্যাল, টুডে ফার্মাসিউটিক্যাল এবং ট্রপিক্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল।

একই রা‌য়ে ১৪ টি ওষুধ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই ১৪টি কোম্পানি হচ্ছে বেঙ্গল ড্রাগস, আদ-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যাল, মিল্লাত ফার্মাসিউটিক্যাল, আলকাদ ল্যাবরেটরিজ, বেলসেন ফার্মাসিউটিক্যাল, ব্রিস্টল ফার্মা, ক্রিস্ট্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল, এমএসটি ফার্মা, অরবিট ফার্মাসিউটিক্যাল, ফার্মিক ল্যাবরেটরিজ, পনিক্স কেমিক্যাল, রাসা ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেভ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।