অলিম্পিক একমাত্র গেমস; যার রয়েছে বিশ্বব্যাপী আবেদনময়ীতা। অলিম্পিক পদকের অর্থমূল্যের চাইতে এর প্রাপ্তিমূল্য অনেক বেশি। অলিম্পিকের একটি পদকজয়ের জন্য কী আপ্রাণ চেষ্টাটাই না করেন খেলোয়াড়রা! চার বছরের নিরলস অনুশীলন, পরিশ্রমের পর হয়তো গলায় ঝোলাতে পারেন একটি স্বর্ণ বা রৌপ্যপদক। নিশ্চিতভাবেই এই পদকগুলোর আবেগীয় মূল্য পরিমাপযোগ্য নয়। কিন্তু বাস্তবে কত মূল্য এই পদকগুলোর? স্বর্ণপদকগুলো কি পুরোটাই সোনা দিয়ে তৈরি?
১৯১২ সালের অলিম্পিকে শেষবারের মতো স্বর্ণপদক বানানো হয়েছিল পুরোটাই সোনা দিয়ে। তার পর থেকে অলিম্পিক স্বর্ণপদকে স্বর্ণ দেওয়া হয় খুবই কম পরিমাণে। এবারের রিও অলিম্পিকের স্বর্ণপদকে স্বর্ণ আছে মাত্র ১.২ শতাংশ। ৯৮.৮ শতাংশই বানানো হয়েছে
রূপা দিয়ে। ওপরে শুধু দেওয়া হয়েছে সোনার প্রলেপ। সেই হিসেবে ৫০০ গ্রাম ওজনের এই অলিম্পিকের স্বর্ণপদকের বাজারমূল্য দাঁড়াবে ৫৬৫ ডলার। যদি পুরোটাই সোনা দিয়ে বানানো হতো তাহলে সেটার মূল্য দাঁড়াতো ২১ হাজার ডলার।
রৌপ্যপদকের পুরোটাই অবশ্য বানানো হয় রূপা দিয়ে। সেটার বাজারমূল্য ৩১৫ ডলার। আর ব্রোঞ্জপদকের ৯৫ শতাংশই বানানো হয় তামা দিয়ে। বাকি পাঁচ শতাংশ জিংক। ব্রোঞ্জপদকের বাজারমূল্য খুবই নগণ্য। মাত্র ২.৩৮ ডলার।
এই হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের সাঁতারু মাইকেল ফেল্পস তাঁর ২৩টি স্বর্ণপদকের জন্য পাবেন মাত্র ১৩ হাজার ডলার। কিন্তু চারটি অলিম্পিকে অংশ নিয়ে এই ২৩টি স্বর্ণপদক জিতে ফেল্পস যে খ্যাতি ও সম্মান অর্জন করেছেন, ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন; তার কি কোনো মূল্য নির্ধারণ করা যায়? সেটা নিশ্চিতভাবেই থেকে যাবে অমূল্য এক প্রাপ্তি হিসেবে।
এই হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের সাঁতারু মাইকেল ফেল্পস তাঁর ২৩টি স্বর্ণপদকের জন্য পাবেন মাত্র ১৩ হাজার ডলার। কিন্তু চারটি অলিম্পিকে অংশ নিয়ে এই ২৩টি স্বর্ণপদক জিতে ফেল্পস যে খ্যাতি ও সম্মান অর্জন করেছেন, ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন; তার কি কোনো মূল্য নির্ধারণ করা যায়? সেটা নিশ্চিতভাবেই থেকে যাবে অমূল্য এক প্রাপ্তি হিসেবে।
^
^
@অলিম্পিক স্বর্ণপদক , অলেম্পিকে সোনা, #স্বর্ণ আছে কতখানি?
^
@অলিম্পিক স্বর্ণপদক , অলেম্পিকে সোনা, #স্বর্ণ আছে কতখানি?
No comments:
Post a Comment