কোরআন ছুঁয়ে কসম করা কি ঠিক?

এন‌টি‌ভিঃ নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ১৮৬৮তম পর্বে ই-মেইলে কোরআন ছুঁয়ে কসম কাটলে সেটি ঠিক হবে কি না, সে সম্পর্কে যশোর থেকে জানতে চেয়েছেন ফারহানা। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন : কোরআন শরিফ ছুঁয়ে কসম কাটলে সেটা কি রাখতে হবে? নাকি এটা নাকচ হয়ে যাবে অথবা শিরকে পরিণত হবে? মহানবী (সা.) কোনো হাদিসে কি কসম নিয়ে কিছু বলেছেন?


উত্তর : অবশ্যই হাদিসের মধ্যে কসম সম্পর্কে বলা আছে। সেটা হলো গায়রুল্লাহর নামে কসম করা শিরক। হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা তোমাদের বাপ-দাদার নামে কসম করো না।’ আরো এসেছে, ‘যে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নাম বাদ দিয়ে গায়রুল্লাহর নামে হলফ করল, কসম করল, সে শিরক করল।’ এ জন্য গায়রুল্লাহর নামে কসম করা সম্পূর্ণরূপে শিরক।
কিন্তু কোরআনে কারিমকে স্পর্শ করে, কোরআনে কারিমের নামে যদি কেউ কসম করে থাকে, তাহলে সেটি শিরক হবে না। যেহেতু কোরআন আল্লাহর কালাম।

কোরআন সম্পর্কে তিনটি আকিদা হলো সুন্নতে জামাতের অপরিহার্য। তার মধ্যে একটি হলো এটি আল্লাহর কালাম, তা বিশ্বাস করতে হবে। আর আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কালাম যেগুলো সেফাতুল্লাহি সুবাহানতায়ালা, আল্লাহর গুণ। সুতরাং যেমনিভাবে আপনি ‘আর রাহমান’ এই নাম দিয়ে কসম করতে পারেন, তেমনিভাবে কোরআনে কারিমের নামে আপনি কসম করতে পারবেন। যেহেতু এটি আল্লাহর গুণ, আল্লাহর কালাম হিসেবে নাজিল হয়েছে।

তবে সালফেস সালেহিনের কাছ থেকে এ ধরনের আমল সাব্যস্ত হয়নি। কিন্তু এই কসম যদি কেউ করে থাকেন, অবশ্যই তাঁকে এই কসম রক্ষা করতে হবে। আর কসম ভঙ্গ করলে তাঁকে ‘কাফ্ফারাতুল কসম’ বা ‘কাফ্ফারাতুল ইয়ামিন’, অর্থাৎ কসমের যে কাফ্ফারা আছে, তাঁকে সেটি আদায় করতে হবে। যেহেতু কসম কোরআনে কারিমের হরমতের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

আর কাফ্ফারাটা কী? সে বিষয়ে কোরআনের মধ্যে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘এই কাফ্ফারা হচ্ছে ১০ জন মিসকিনকে, তোমরা যা খাও সেই খাবারের আয়োজন করবে একবেলা অথবা তাদের পোশাক দেওয়ার ব্যবস্থা করবে অথবা গোলাম আজাদ করবে। আর যদি এর কোনো একটি করতে সে সক্ষম না হয়, তাহলে তিন দিন একাধারে সিয়াম পালন করবে।’ 
^
^
#কুরআন । @কসম । #শিরক

No comments:

Post a Comment