'সময়' মানুষের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যিনি সময়ের ব্যাপারে সচেতন তার সাফল্য অনিবার্য। দায়িত্বশীল ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে যোগ্যতা প্রমান করে। অনেক যোগ্য ব্যক্তি সময়ের অবহেলা করে নিজেকে অযোগ্য ব্যক্তির কাতারে শামিল করে।
সফল ব্যক্তিরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিশ্রম করে না বরং সঠিক সময়ে সঠিক কাজ সম্পন্ন করে। বস্তুত সময়ের সদ্ব্যবহার জানেনা বলেই মানুষ কাজের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। সময়ের সদ্ব্যবহারের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তির স্ব স্ব কৌশল অবলম্বন করা উচিত। আমরা যতটা সঠিক উপায়ে সময়কে কাজে লাগাতে পারব ততটা সফল হব।
নিম্নের আলোচনার মাধ্যমে আমরা সময়ের সদ্ব্যবহার সম্পর্কে আরো জানতে সক্ষম হবো। বিশেষ করে নেটওয়ার্কাররা সময়ের প্রতি বেশি সজাগ থাকে কারণ প্রতিটি মুহুর্ত তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অভাব বা প্রয়োজন সৃষ্টি করুনঃ
সময়ের অভাব বা চাহিদা সৃষ্টি করুন। অর্থাৎ প্রথমে একটি ভাল কাজ খুঁজে বের করুন। কাজটিকে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ মনে করুন যেন যে কোন উপায়ে তা সম্পন্ন করতে হবে, দেখবেন সময় ঠিকই আপনি বের করে নিয়েছেন। কাজকে যতবেশি প্রয়োজনীয় ভাববেন সময় আপনি তত বেশি পাবেন।
সময় সাশ্রয় করুনঃ
যে কাজ সকাল নয়টা হতে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত করে প্রতিদিন শেষ করেন। তা যদি বিচক্ষনতার সহিত বিকাল তিনটার পূর্বে শেষ করতে পারেন তবে দু’ঘন্টা সময় সাশ্রয় করলেন। একজন নেটওর্য়াকার অফিসে আসার পূর্বেই পরিকল্পনা সেরে ফেলেন কোন কাজটি আগে করলে সময় সাশ্রয় হবে বা কোন দিকে গেলে দুটি কাজ একত্রে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এতে একটি কাজের সময় সম্পূর্ণ সাশ্রয় হবে। নেটওয়ার্কারদের সময় সাশ্রয়ের প্রতি অনেক বেশি মনোযোগী হতে হবে। কারন সময়মতো দল গুছাতে না পারলে এ জন্য অনেক বেশি শ্রম ও সময় প্রদান করতে হয়।
সময়ের অপচয় রোধ করুনঃ
আমরা সাধারনত কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন কথা-বার্তায় মগ্ন হই। যেমন আপনি কোন কাজ করতে করতে কথা বলবেন তো কাজটি সঠিক বা নিখূঁত হবার সম্ভাবনা কমে যাবে। এতে সময়ের অপচয় হয় বেশি। আলস্যতা ও ধীরে চলার কারনে সময়ের অপব্যবহার হয়ে থাকে। সঠিক কাজ সঠিক সময়ে সম্পাদনের মাধ্যমে আমরা সময়ের সদ্ব্যবহার করতে পারি। যে কোন একটি কাজ আরম্ভ করার পর তা সম্পন্ন করার পর নতুন কাজে হাত দেওয়া উচিত। দুটি কাজ একত্রে আরম্ভ করলে কোনটিই না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে সময়ের অপচয় হওয়ার সম্ভাবনাই থাকে বেশি।
পরিকল্পিত উপায়ে কাজ করুনঃ
পরিকল্পনা মাফিক কাজ করার মাধ্যমে সময়ের সঠিক ব্যবহার হয়। নেটওয়ার্কারদের বিভিন্ন কর্ম পরিকল্পনায় সময়ের গুরুত্ব দিতে হবে বেশি। একটি কাজ নিয়ে পুরোদিন ব্যস্ত থাকলে অন্যান্য কাজের সময় পাওয়া বেশ কঠিন। সময় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনেকগুলো কাজ সঠিক সময়ে যথার্থভাবে করা যায়।
অন্যদের প্রেষিত করুনঃ
আপনি নিজে যতই সময় সচেতন হোন না কেন আপনার সহকর্মী বা ডাউন-লাইন, আপ-লাইন কর্মীরা এ ব্যাপারে উদাসীন হলে তা আপনার উপর প্রভাব ফেলবে। যারা সময়ের মূল্যায়ন করে না তারা আপনার সময়ের বা কাজের মূল্যায়ন করবে না। যা আপনার কর্মদ্যোমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এজন্য কাজের গুরুত্ব ও সময়ের প্রতি মনোযোগী হওয়ার জন্য অন্যদের উৎসাহ দিন। আপনার চারপাশের লোকজনের কর্মস্পৃহা দেখে আপনার নিজের মাঝেও উদ্দীপনা তৈরী হবে।
অপ্রয়োজনীয় কাজ বাদ দিনঃ
অপ্রয়োজনীয় ও অনাহুত কাজ বাদ দিন। কাজের প্রতি একাগ্রতা না থাকলে বিভিন্ন ইচ্ছা জাগ্তে শুরু করবে। যেমন, চা-সিগারেট পান করা ইত্যাদি। মোদ্দা কথা কাজ ও সময়ের প্রতি যাদের সচেতনতা নেই তারা বিশেষ করে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং পদ্ধতিতে সফল হতে পারে না বরং অন্যদের ক্ষতিসাধন করে।
মূল্যবান সময়কে কে কতটা কাজে লাগাতে পারে তা নির্ভর করে তার মনোভাবের উপর। নেটওর্য়াকার মার্কেটিং এ ইতিবাচক মনোভাব সম্পন্ন মানুষ কখনো অন্যদের কাজে ব্যাঘাত ঘটায় না। সহযোগিতা পূর্ন মনোভাবের দরুন মাল্টিলেভেল মার্কেটিং পদ্ধতিতে প্রত্যেকে সময়ের চেয়ে দ্রুত সাফল্য লাভ করতে সক্ষম হয়। এজন্য সময়ের সদ্ব্যবহার জানতে হবে প্রত্যেককে।
( চলবে )
No comments:
Post a Comment