উচ্চতা বাড়াতে আসন (ব্যায়াম)

কা‌লের কন্ঠ: উচ্চতা বাড়াতে আসনের ব্যায়াম কার্যকরী!
উচ্চতা বাড়াতে চান? তাহলে যোগ আসন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কোন আসনগুলো কোন বয়সে করবেন জানালেন অ্যাডোনাইজ ফিটনেস সেন্টারের প্রশিক্ষক জহিরুল ইসলাম।
মানুষের উচ্চতা বাড়ার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ভূমিকা শরীরে থাকা জিনের। এ ছাড়া আমাদের গ্রোথের জন্য পিটুইটারি নামক গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত গ্রোথ হরমোন প্রধান ভূমিকা পালন করে। পরিবেশগত খাদ্যাভ্যাসও প্রভাব রাখে। সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৬ আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের পর লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। সাধারণত ২৫ বছরের পর আর লম্বা হয় না। আসলে লম্বা হওয়াটা যেহেতু বংশগত বা জেনেটিক ফ্যাক্টর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং বয়স যদি ২৫-এর বেশি হয়ে থাকে তবে বিশেষ কিছু করার থাকে না। যদি বয়স ২০-এর নিচে হয়, বিশেষ করে যাদের শিশু বা বয়ঃসন্ধিকাল
চলছে, তাদের জন্য ডায়েট বা ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া সম্ভব।
উচ্চতা বাড়াতে সহায়ক—এমন দুটি আসন রইল

ভুজঙ্গাসন (কোবরা পোজ)
উপুড় হয়ে শুয়ে সামনে মাথা তুলে যে ভুজঙ্গাসন করা হয় তাতে বুক, পেট ও কাঁধের পেশিতে টান পড়ে। এই আসন লম্বা হতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১৫ মিনিট অভ্যাস করতে হবে।

তাড়াসন (ট্রি পোজ)
গাছের মতো ভঙ্গি করে মেরুদণ্ডকে সোজা করুন। শরীর টান টান থাকবে। এই আসন লম্ব্বা হওয়ার জন্য খুব উপযোগী।
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করলে প্রাণশক্তি বাড়ে। যোগ ব্যায়াম শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে। এই দুটিরই প্রয়োজন পড়ে সঠিক বয়সে উচ্চতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে।

উচ্চতা বৃদ্ধির খাবার
♦   প্রচুর পরিমাণে লিন প্রোটিন খেতে হবে। যেমন ফার্মের সাদা মুরগির মাংস, মাছ ও দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর লিন প্রোটিন থাকে, যা  পেশি গঠন ও হাড়ের ক্ষয়রোধ দূর করে।
♦   কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে। যেমন—ভাত, আলু, কেক ইত্যাদি। অতিরিক্ত মিষ্টি থেকে দূরে থাকুন।
♦   প্রচুর ক্যালসিয়াম খান, যা সবুজ শাকসবজিতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া দুধ ও দইয়ে প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
♦   যথেষ্ট পরিমাণে জিংক খেতে হবে। জিংক পাওয়া যায় কুমড়া, ওয়েস্টার, গম ও চিনাবাদামে।
♦   ভিটামিন ‘ডি’ খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। এটি পেশি ও হাড় গঠনে ভূমিকা রাখে। এর অভাবে শিশুদের বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মেয়েদের ওজন বাড়ে। মাছ, মাশরুম ও সূর্যের আলোতে পাওয়া যায় ভিটামিন ‘ডি’।

#লম্বা-হওয়ার-উপায় । #হাইট বৃ‌দ্ধি

No comments:

Post a Comment