বিশ্ব বিখ্যাত ধনীদের গোপন ফর্মুলা

কালেরকণ্ঠ: সারা বি‌শ্বে ধনী তথা বিত্তশালী‌ ছ‌ড়ি‌য়ে আ‌ছে। কেউ অল্প‌দি‌নে আবার  কেউ তি‌লে তি‌লে উপ‌রে উ‌ঠে‌ছে। কিন্তু তাঁরা কিভা‌বে এ‌তো ধনী হ‌লো?  আজ "বিশ্বের সেরা ধনীদের ৫ গোপন ফর্মুলা"র কথা জানা‌নো হ‌চ্ছেঃ


১. মিতব্যয়ীঃ
মিতব্যয়ী হওয়াটা ধনী হওয়ার অন্যতম উপায়। বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বর্তমানে ৬৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক। তিনি নিজেকে অত্যন্ত মিতব্যয়ী বলে দাবি করেন। ১৯৫৮ সালে অল্প দামে যে বাড়িটি তিনি কিনেছিলেন এখনো সে বাড়িতেই বাস করছেন। এ ছাড়া জীবন যাপনের জন্য সর্বদা সাধারণ উপকরণ ব্যবহার করতেই তিনি পছন্দ করেন। একইভাবে টাকা হলেই নানা বিলাসপণ্য ব্যবহার করে তা শেষ করতে হবে কিংবা ঘন ঘন গাড়ি-বাড়ি বদল করতে হবে এমন ধারণাকে তিনি অপছন্দ করেন।

২. ভুল থেকে শিক্ষাঃ
দু-একবার ভুল করা মানেই সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়। সবারই ভুল হয়। ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৪ বিলিয়ন ডলার। তিনি ফেসবুকের শুরুতে একটি বড় ভুল করেছিলেন। তবে এ ভুলের কারণে তিনি যে হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন তা নয়। এ ভুলটি তিনি পরবর্তী সময়ে দ্রুত সংশোধন করে নেন। তিনি জানান, এ ভুলের কারণে হয়তো তাঁর কয়েক বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের কোনো ভুল যেন আর না হয় সে জন্য তিনি সতর্ক হয়ে গেছেন।

৩. আত্মবিশ্বাসঃ
যে বিষয়টি আপনার বিশ্বাস, সে বিষয়েই বিনিয়োগ করতে হবে। অন্যথায় বিনিয়োগ থেকে সঠিক ফলাফল পাওয়া যাবে না। অ্যামাজনডটকমের সিইও জেফ বিজোসের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৬৬ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩ সালে তিনি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা কিনে নেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, এতে তিনি ভালো করতে পারবেন। তাঁর সে বিশ্বাসকে তিনি বাস্তবে প্রমাণ করেন। তাঁর মালিকানায় ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা বর্তমানে ভালোভাবে চলছে।
 
৪. সঠিকভাবে অর্থের জোগানঃ
নগদ অর্থের প্রবাহ ছাড়া ব্যবসা চালু রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াতে পারে। হংকংয়ের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি লি কা-শিং। তিনি ৩১ বিলিয়ন ডলারের মালিক। অল্প বয়সেই তাঁকে পরিবারের সহায়তার জন্য পড়াশোনা ছাড়তে হয়। তবে ২২ বছর বয়সেই তিনি সফলভাবে প্রথম ফ্যাক্টরি চালু করতে সক্ষম হন। এরপর নানা ধরনের ব্যবসা সফলভাবে করেছেন তিনি। ব্লুমবার্গ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, তিনি সর্বদা নিজের আর্থিক প্রবাহ ঠিক রেখেছেন।

৫. কর বিষয়ে জ্ঞানঃ
অধিকাংশ ব্যবসাতেই একটি বড় বিষয় হলো কর। আর এ বিষয়টিতে অন্যের ওপর নির্ভর করে সফল হওয়া যায় না। এ জন্য উদ্যোক্তাদের উচিত কর বিষয়ে যাবতীয় আইনকানুন জেনে নেওয়া। ধনী ব্যক্তিরা সর্বদা এসব বিষয় নিজেই বুঝে নিয়ে তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। এ বিষয়ে ওয়ারেন বাফেট বলেন, বিনিয়োগ নির্ভর করে তা থেকে কতখানি লাভ পাওয়া যাবে তার ওপর। কোনো ক্ষেত্রে কর যদি বেশি হয় তাহলে সেখানে বিনিয়োগ না করাই ভালো।
^
^
#ধনী #বিত্তশালী @ধনী হওয়ার উপায় #কো‌টিপ‌তি

No comments:

Post a Comment