ব্যবসার প্রচার, প্রসার ও পণ্য বিক্রিতে মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। আপনি নতুন একটি বিজনেস শুরু করতে যাচ্ছেন অথবা যখন কনসালটান্ট হিসেবে নিজের বিজনেসের নতুন শাখা খুলতে যাবেন, ব্যয়ের কথা না উল্লেখ করলেও আপনার প্রডাক্ট ও মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে সার্ভিসগুলো । সে ক্ষেত্রে নিচে কিছু সহজ টিপস দেয়া হলো:
সম্ভাবনাকে ফুটিয়ে তুলুনঃ কারো মনে বিরক্তির কারণ হয়ে দাড়ায় এমন কোনো কাজ কখনো করবেন না। তার পরিবর্তে আপনার অতীত কাজের স্যাম্পলসহ সংক্ষিপ্ত, টাইট ও মনোমুগ্ধকর পরিচিতিমূলক একটি চিঠি পাঠান। এছাড়া ই-মেইল বা ফোন কল দ্বারাও অনুসরণ করতে থাকুন।
চারদিকে ছড়িয়ে পড়ুনঃ ট্রেড শো, সেমিনার, ইন্ডাস্ট্রি ফোরাম যেখানে সম্ভাব্য ক্রেতারা উপস্থিত থাকেন, সেখানে যতটা সম্ভব উপস্থিত থাকুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের নামসহ আপনার নামে সংক্ষিপ্ত একটি কার্ড তৈরি করে বিতরণ করুন।
নেটওয়ার্কঃ নতুন সুযোগ খোঁজার চেয়ে বিদ্যমান সুযোগই আপনার জন্য অধিক প্রডাকটিভিটি দেবে। সেজন্য পরিচিত ও নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করুন।
সোস্যাল মিডিয়াতে পদচারণা বাড়ানঃ
অনলাইনে জনপ্রিয় কিছু সোস্যাল মিডিয়া; যেমন- ফেসবুক, গুগল প্লাস, টুইটার ইত্যাদির মাধ্যমে আজকাল অনেকেই ব্যবসায় প্রসার ও পণ্য বিক্রি করে। যা তুলনামূলক সহজ ও কার্যকরী। তাই মার্কেটিংয়ের জন্য সোস্যাল মিডিয়াগুলোকে ব্যবহার করতে হবে।
ই-মেইলের ব্যবহারঃ ই-মেইল ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার বন্ধু, অভিজাত শ্রেণী এবং আগের ক্লায়েন্টদের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই আপনার কাজগুলো শেয়ার করতে পারেন।
ওয়েবসাইটে বিনিয়োগঃ অনলাইন মার্কেটিং ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বেশ ভালো ফলাফল দেয়। নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রদর্শনের প্রথম ধাপ হলো মানসম্পন্ন ওয়েবসাইট তৈরি করা। এছাড়া ওয়েবসাইট তৈরির পেছনে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে এটি সবার বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে।
আপনার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করুনঃ জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনের কি ওয়ার্ড/গুরুত্বপূর্ণ শব্দ শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত করে আপনার সাইটটি ধারণ করুন। যতো বেশি আপনার লিংকে মানুষকে সংযুক্ত করতে পারবেন আপনার রেংকিং ততো বাড়বে। এছাড়া আপনি যদি একটি প্রয়োজনীয় আর্টিকল প্রকাশ করতে পারেন যা অন্যান্য ব্লগের পিপলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়, তাহলেও আপনার রেংকিংকে বাড়াতে পারবেন।
কমিউনিটি তৈরি করুনঃ ব্লগ যোগাযোগের দক্ষতা বাড়ায় এবং প্রজেক্টের কর্পোরেট চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। কমিউনিটি তৈরি এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ক সম্ভাবনাময় ক্লায়েন্ট ও পিপলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আপনাকে সহায়তা করবে। প্রতিযোগিতাকে ভুলেও নাগালের বাইরে যেতে দেবেন না। সঠিক নেতৃত্ব যে কোনো স্থান থেকে উঠে আসতে পারে।
আপনার দক্ষতা শেয়ার করুনঃ আপনার পেশাকে ছড়িয়ে দিতে ই-নিউজলেটার তৈরি করুন। কম প্ররোচনার মাধ্যমে কার্যকরী উপদেশের মাধ্যমে প্রকৃত গ্রাহকদের জানার ও পড়ার সুযোগকে বাড়াতে হবে।
কার্ড সঙ্গে রাখুনঃ বাড়ি থেকে নিজের বিজনেস কার্ড ছাড়া কখনো বের হবেন না। কারণ আপনি কখনোই জানবেন না, কার কখন আপনার সার্ভিস প্রয়োজন হবে। সুনির্দিষ্ট কিছু করতে চাইলে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একটি কার্ড সবসময় সঙ্গে রাখুন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যথাযথ স্থানে এটিকে কাজে লাগান। এ কার্ডটিই অন্যদের চেয়ে আপনাকে আলাদাভাবে চিনতে সহায়তা করবে।
কার্যকরী গিফট করাঃ হলিডে কার্ডের পরিবর্তে সুন্দর ডিজাইনের একটি ক্যালেন্ডার গিফট করুন, যাতে আপনার নাম ও ঠিকানা থাকবে। আপনি ডিজাইনার বা ফটোগ্রাফার হলে এতে অরিজিনাল আর্ট যুক্ত করে আপনার প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারেন।
ব্যতিক্রমধর্মিতার দ্বারা প্রভাবিত করুনঃ ব্যবসায় মার্কেটিংয়ের জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়া আপনার ব্যবসায়ের জন্য যে কোনো সময় হলিডে কার্ডের মাধ্যমে ধন্যবাদ জানাতে পারেন। সেজন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। যেমন- আপনি ট্যুরের জন্য কাস্টমারদের বছরে যে কোনো উপযুক্ত আবহাওয়ায় ইনভাইট করতে পারেন অথবা আগের ট্যুরের জন্য ধন্যবাদও জানাতে পারেন।
No comments:
Post a Comment