ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস

এককথায় ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস হল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থা বিশ্লেষণে ভবিষ্যৎ কারেন্সি প্রাইস ভ্যালু নির্ধারণ বা অনুধাবন করার একটি প্রক্রিয়া। আরও সহজ করে বলা যেতে পারে, কোন একটি দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে ঐ দেশের কারেন্সি ভ্যালুর যে পরিবর্তন ঘটে এবং তা বিশ্লেষণ বা বের করার যে একটি উপায় তাই হল ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস।
 
 
ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসের মুলমন্ত্র হল ভাল অর্থনীতিতে কারেন্সি ভ্যালু বাড়বে এবং খারাপ অর্থনীতিতে ভ্যালু কমবে, যেমনঃ ইন্টারেস্ট রেট, এমপ্লয়মেন্ট সিচুয়েশন, ট্রেড ব্যালেন্স, বাজেট, ট্রেজারি বাজেট এবং গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট ইত্যাদির বিভিন্ন প্রভাবই হল বিভিন্ন ধরণের ফান্ডামেন্টাল ইস্যু। আরও যেসব বিষয় ফান্ডামেন্টাল এনালাইসেসের আওতায় পড়ে সেগুলো হল-
১। গভমেন্ট ক্রাইসিস।
২। সরকার বা মন্ত্রী পরিষদের বড় কোন পরিবর্তন।
৩। দেশের অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশনায়।
৪। আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্ব।
৫। ইলেকশন পূর্ববর্তী সময়।
৬। প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসের জন্য খুব বেশি সন্দিহানে না থেকে দু-তিনটি বিষয় ব্যবহার এবং বিবেচনায় আপনি সহজে এই এনালাইসিস করতে পারেন। সেগুলো হল-
ইকোনমিক ডাটাঃ
====================================================
আসুন এবার পরিচিত হই কিছু ইকোনমিক ডাটা লিস্টের সাথে যেসব ডাটা রিপোর্ট পাবলিশে মার্কেটের উপর বিভিন্ন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় এবং রেগুলার নিউজ ট্রেডিং-এ এই ধরণের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আপনি মার্কেট অস্থিতিশীলতা বা মার্কেট ভলাটিলিটি বুঝে রিস্ক ফ্রী ট্রেড করতে পারবেন। আরেকবার বলে নিই ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস হল দেশের বিভিন্ন অবস্থা প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিতে এর ইমপ্যাক্ট কেমন হতে পারে তার একটি পক্রিয়া। তাই আপনার কাছে যত বেশি ইকোনমিক ডাটা থাকবে মার্কেটের গতিবিধি সম্পর্কে আপনি ততই প্রস্তুত থাকবেন। এই মুহূর্তে সবগুলো ডাটা হয়ত অপ্রয়োজনীয় লাগতে পারে তবে রেগুলার বেসিসে যদি সবগুলো মাথায় রাখতে পারেন তাহলে এর উপকারিতা আপনি নিজেই টের পাবেন।
১। Industrial production (world):
====================================================
এই রিপোর্টটি প্রকাশে বোঝা যায় একটি দেশে নির্দিষ্ট সময়ে ফ্যাক্টরি প্রোডাকশন, মাইন প্রোডাকশন এবং ইউটিলিটি কেমন হয়েছে। কারণ প্রডাকশনের উপরও ইকোনমিক গ্রোথ ডিপেন্ড করে আর ইকোনমিক গ্রোথ ভাল হলে বুঝতেই পারছেন তা কারেন্সিকে হিট করে।
২। Producer price index (PPI):
====================================================
এটি একটি ইন্ডিকেটর যা প্রডিউসারদের গুডস স্টক লেভেল নির্দেশ করে। প্রডিউসারদের কাছে গুডসের প্রাইস ঊর্ধ্বগতি অর্থাৎ কনজুমারদের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ঐ সব পণ্যের সেলিং ইন্টারেস্ট রেট বৃদ্ধি পাওয়ার একটা আশঙ্খা থাকে যা ফরেক্স মার্কেটে কমোডিটি যেমন, গ্যাস, ওয়েল এবং গোল্ডসহ বিভিন্ন কমোডিটি প্রোডাক্টের রেটের পরিবর্তন করে।
৩। Productivity (world):
====================================================
এটি নির্দেশ করে যে ইনপুটের তুলনায় প্রোডিউসড প্রোডাক্ট বা সার্ভিস রেট কেমন। যদি প্রোডিউসড ভাল হয় তার মানে ঐ প্রোডাক্টের গ্রোথ ভাল এবং তা মার্কেটে বড় কোন তারতম্য না তৈরি করেই মুভ করবে।
৪। Business inventories (world):
====================================================
এই রিপোর্টটির মাধ্যমে বোঝা যায় যে নির্দিষ্ট একটি সময়ে কি পরিমাণ প্রোডাক্ট প্রোডিউসড হয়েছে, কি পরিমাণ সেল হয়েছে এবং ভবিষ্যৎ বিক্রির জন্য কি পরিমাণ আছে। অর্থাৎ মার্কেট চাহিদা বোঝা যায় এবং তার উপর ভিত্তি করে রেট ওঠা নামার হার পরিবর্তন হয়।
৫। Durable goods (US):
====================================================
এই রিপোর্টটি মার্কেটে প্রোডাক্টের মেয়াদকাল তথা স্থায়িত্ব নির্দেশ করে, শেষ তিন বছরের জরিপে মোট বিক্রয় হার কেমন ছিল। অর্থাৎ এটি নির্দিষ্ট একটি সময়ে প্রোডাক্ট প্রবৃত্তি এবং কনজুমার কনফিডেন্সের রেকর্ড নির্ধারণ করে দেয় যাতে করে পরবর্তী সেল রেট বা মার্কেট রেসপন্স বোঝা যায়।
৬। Jobless claims (US):
====================================================
এটি সাপ্তাহিক মোট বেকারত্তের হার নির্ধারণ রিপোর্ট করে। যে নিউজটি প্রতি বৃহস্পতিবার রিলিজ হয়।
৭। Leading economic indicator index (world):
====================================================
জাপানের অর্থনীতিতে সেবা খাতের কর্মক্ষমতা পরিমাপ করে।
৮। TIC Data (US):
====================================================
মার্কিন সম্পত্তির পরিমাণ এবং মার্কিন বিদেশী গোষ্ঠীর পরিমাণ নির্ধারণ করে।
৯। G7 meeting (world):
====================================================
এটি একটি মিটিং রিপোর্ট যা বিশ্বের ৭টি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতি যেমন, কারেন্সি ইস্যুসহ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অর্থনীতি সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
১০। Oil prices (world):
====================================================
এই রিপোর্টে ইউ.এস. কারেন্সির সাথে নেগেটিভ কো-রিলেটেশন সম্পর্কিত কারেন্সিগুলোর তথ্য প্রকাশ করা হয়। যেমন ফরেক্স মার্কেটে অয়েল প্রাইস মুভমেন্ট আপ হলে ইউ.এস.ডির মুভমেন্ট ডাউন হয়।
উপরোক্ত ইকোনমিক ডাটাগুলো রিলিজে মার্কেট প্রাইসের তারতম্য ঘটে কারেন্সি ভেদে, ফরেক্স মার্কেটের সেন্টিমেন্টাল বুঝে ট্রেড করার জন্য এই ডাটা রিপোর্টগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গোল্ড এবং অয়েল ফান্ডামেন্টাল ফেক্টরঃ
====================================================
ফরেক্স মার্কেটে গোল্ড এবং অয়েলের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কারণ এই দুটি কমোডিটিস ফরেক্স মার্কেটে ট্রেডিং সিদ্ধান্ত গ্রহণে নেতৃস্থানীয় নির্দেশক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
 গোল্ডঃ
====================================================
বিভিন্ন দেশের মাইন প্রোডাকশনে ২০১১ সালের জরিপে এককভাবে চীন এগিয়ে আছে এবং দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে অস্ট্রেলিয়া এবং তৃতীয় হচ্ছে ইউ.এস.। এভাবে বিভিন্ন বছর বিভিন্ন দেশের প্রোডাকশন সেই দেশের কারেন্সিকে হিট করে। লক্ষ্য করবেন, বেশিরভাগ সময়ে ইউ.এস. GOLD-এর বৃহৎ উৎপাদনকারী দেশ থাকা সত্ত্বেও GOLD-এর সাথে USD-এর বিপরীত সম্পর্ক থাকে। এর পেছনে মুল কারণ হচ্ছে GOLD-এর প্রাইস সবসময় USD-এর বিপক্ষে নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া আরও আকটি কারণ হচ্ছে মাঝে মাঝে ইনভেস্টররা তাদের কেপিটেলকে USD থেকে GOLD-এ স্থানান্তর করে রাখতে বেশি সেইপ মনে করে।
 অয়েলঃ
====================================================
সাধারণভাবে আমরা জানি অয়েল / তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে বিশেষ করে ট্রান্সপোর্টেশন কস্ট বেড়ে যায়। সাথে সাথে ফিনিশড প্রোডাক্ট যেমন ইউটিলিটি এবং হিটিং কস্টও বাড়ে। যার প্রভাব বিশেষ করে তেল নির্ভর অর্থনীতির দেশ যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ও অন্যান্য উন্নত দেশের উপর পড়ে। কিন্তু ব্যতিক্রম হল কানাডা যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল মজুকারী দেশ এবং নিট অয়েল রপ্তানীকারক যার কারণে অয়েল প্রাইসের সাথে কানাডিয়ান ডলারের একটি ইতিবাচক সম্পর্ক দেখা যায় যা অন্যান্য উন্নত দেশের মধ্যে দেখা যায় না।
ইকোনমিক ক্যালেন্ডার:
====================================================
ইকোনমিক ক্যালেন্ডার হল বিভিন্ন ঘটনা নির্ণয়ে মার্কেট মুভিং-এর সম্ভাব্য প্রতিফলন বা ফলাফল তথ্য। এই ক্যালেন্ডারে সময় অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোন ইভেন্টের ইফেক্ট কি হয় এবং হতে পারে তার একটি রিপোর্ট প্রদান করে। যা দেখে ট্রেডাররা বুঝতে পারে যে পরবর্তী মার্কেট ট্রেন্ড কি হতে পারে এবং সে অনুযায়ী তারা মার্কেটে প্রবেশ করে। এই ক্যালেন্ডারে সময় সময়ের বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ইভেন্টের ফোরকাস্ট করা হয়।
ইকোনমিক ক্যালেন্ডার তৈরি করেন অভিজ্ঞ ইকোনমিস্টসরা, পূর্ববর্তী মাসের ডাটা নিয়ে ফিউচার মার্কেট মুভমেন্টের একটি ফোরকাস্ট প্রদান করা হয় এই ডাটায়।
ইকোনমিক ক্যালেন্ডারের মূল পয়েন্টগুলো হল-
Date — Time — Currency — Data Released — Actual — Forecast — Previous
কিভাবে ইকোনমিক ক্যালেন্ডার রীড করবেন?
====================================================
আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনি যে কারেন্সি নিয়ে ট্রেড শুরু করতে যাচ্ছেন সে সময়ে ঐ কারেন্সির কোন হাই ইম্পেক্ট আছে কিনা, একচুয়াল নিউজ রিলিজের সময় মার্কেট অনেক বেশি ভলাটাইল থাকে আর মার্কেট ভলাটিলিটি স্ট্রেনথ নির্ভর করে রিলিস নিউজটি কতটা চমকপ্রদ তার উপর। ততক্ষণ পর্যন্ত ঐ নিউজটি চমকপ্রদ থাকে (Factor of Surprised) যেখানে ট্রেডাররা একচুয়াল রিলিজ ডাটার সাথে ফোরকাস্ট কমপেয়ার করে। মিডিয়াম ইমপেক্ট ডাটা একটি হাই ইম্পেক্টে যাওয়া পর্যন্ত বিবেচনায় রাখতে পারেন এবং বেশির ভাগ সময় লো ইম্পেক্ট ডাটা ফরেক্স মার্কেটে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করে না।
Previous:
====================================================
ফরেক্স ক্যালেন্ডারের প্রিভিয়াস কলাম লাস্ট রিলিস ডাটা প্রকাশ করে।
Forecast:
====================================================
ডাটা নির্দেশ করে ইকোনমিস্টদের মার্কেট প্রিডিকশনে আজকের মার্কেট মুভমেন্ট বা মার্কেট ইম্পেক্ট রেট কেমন।
Actual:
====================================================
সর্বশেষ একচুয়াল ডাটা আপডেট করা হয়। নিউজ রিলিজের সাথে সাথে মুহূর্তের মধ্যে ফোরকাস্ট ভ্যালুর সাথে কম্পেয়ার করা হয়। তারপর উক্ত ডাটার পজেটিভনেস এবং নেগেটিভনেস বিচার করে কোন কারেন্সিকে কতটুকু ইম্পেক্ট করছে তা নিশ্চিত করা হয় এবং ফাইনালি ট্রেডাররা সেই ইকোনমিক ডাটা নিয়ে ট্রেডে প্রবেশ করে যার যার এনালাইসিস এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে।
আসুন এবার একটি ইকোনমিক ক্যালেন্ডার দেখি কিভাবে আপনি এই ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে মার্কেট পাওয়ার বুঝবেন এবং এতক্ষণের আলোচনার বাস্তব প্রমাণ দেখবেন। কোন একটি সাইটে প্রবেশ করে ক্যালেন্ডার ট্যাব ক্লিক করলে দেখবেন ডেইট এবং টাইম অনুসারে ঐ দিনের কারেন্সি ইমপ্যাক্ট টাইটেলড করা হয়েছে ডিটেইলস, একচুয়াল, ফোরকাস্ট, প্রিভিয়াস এবং গ্রাফের মাধ্যমে। তার আগে আপনাকে আপনার কম্পিউটারের ঘড়ির সাথে এই ওয়েব সাইটের ঘড়ির টাইমটা সেট করে নিতে হবে যাতে করে আপনি যে রিজিওনে আছেন সেই রিজিওনের টাইম অনুসারে নিউজগুলো পান, সে জন্য উপরের অংশে টাইম সিলেক্ট করুন।
এরপর, ভারতের সাথে সময় মেলানর জন্য Mumbai, Kolkata, Chennai, New Delhi টাইমজোন থেকে ভারত টাইমজোন অর্থাৎ GMT+5.30 সিলেক্ট করুন এবং DST অফ করে Save Changes-এ ক্লিক করে আবার ক্যালেন্ডারে চলে আসুন।
        আপনি যখন ক্যালেন্ডারে প্রবেশ করবেন তখনকার সময়ের বা তার পরবর্তী যে কারেন্সিতে কোন ইমপ্যাক্ট থাকবে তা Impact কলামে ৩টি ভিন্ন কালার আর মাধ্যমে প্রকাশ করবে। যেমনঃ
        RED Color = High Impact
        Light Orange Color = Medium Impact
        Yellow Color = Low Impact
অর্থাৎ তিনটি ভিন্ন ভিন্ন কালার তিন লেভেলের ইমপ্যাক্টের আশা করছে ঐ সময়ে মার্কেট নিউজ প্রকাশের উপর। তাহলে আপনি যে কারেন্সি নিয়ে ট্রেড করার আশা করছেন তার ইমপ্যাক্ট কি তার ডিটেইলস দেখে নিয়ে ট্রেড করতে পারেন। কারেন্সি ইমপ্যাক্ট ডিটেইলসের জন্য ঐ কারেন্সির Open Details-এ ক্লিক করুন। এখানে ঐ কারেন্সির বিভিন্ন ফ্লো ডিটেইলস ইনফরমেশন দেখাছে এবং খেয়াল করুন, Usual Effect কলামে একটি মেইজারমেন্ট দেখাছে, Actual > forcast = Good for Currency; এর মানে হল ফোরকাস্ট ভ্যালুর চেয়ে যদি Actual বেশি হয় তাহলে তা ঐ কারেন্সির জন্য ভাল।
ধরুন USD কারেন্সিতে যখন নিউজটি প্রকাশ হয় তখন Forecast করা হয়েছিল -44.28 কিন্তু পরে দেখা গেল তা Actual এসেছে -42.08 তার মানে এই নিউজে USD কারেন্সির জন্য যে রূপ আশা করা হয়েছিল তা হয় নি। কারণ Forecast-এর চেয়ে Actual খারাপ এসেছে। আর Previous হিসেবে যে ভ্যালুটি দেখতে পাচ্ছেন তা হল ঐ নিউজের বিগত দিনের Actual ভ্যালু
ফরেক্স ব্রোকারসহ ফরেক্স বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নানামুখী ফরেক্স ইনফরমেশন পাওয়া যায় সেইজন্য প্রয়োজন নিয়মিত ভাবে ঐ সব সাইট ভিজিট করা এবং বিষয়গুলো ভালভাবে পড়া।
বি.দ্রঃ ইকোনমিক নিউজ ইমপেক্ট > মার্কেট ভলাটিলিটি বৃদ্ধি > ২-৩ মিনিটের মধ্যে হাইস্ট ভলাটিলিটি > এবং পরবর্তী ৫-১০ মিনিটের মধ্যে আস্তে আস্তে কারেকশন।



ফরেক্স ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস . Forex Fundamental Analysis . 

No comments:

Post a Comment